অনুজের সব মনে আছে; গুড্ডির সম্মানের কথা ভেবেই চলে গেছিল,আবার গুড্ডির অসুস্থতার কথা শুনে ফিরে এসেছে,তাই মুচকি মুচকি হাসছে! স্মৃতিশক্তি হারানোর নাটক করছে!-গুড্ডি ধারাবাহিকের আসল সত্য প্রকাশ হলো এবার!
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক গুড্ডি। এই ধারাবাহিকে দেখা গেছে যে, অনুজ শিরিন, গুড্ডি যুধাজিতের সম্পর্ক যখন রীতিমতো ঘেঁটে গিয়েছিলো, তখন একদিনের জ্বরে অনুজের আচমকা মৃত্যু হয়, অনুজের মৃত্যুর পর গুড্ডি অনেকটা চেঞ্জ হয়ে যায়, সে যুধাজিতের সঙ্গে তার সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসে এবং তার পালিতা মেয়ে রেশমিকে নিয়ে নিজের মত জীবন কাটাতে শুরু করে। এমনকি যুধাজিতকে ডিভোর্স দিয়ে সে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে তার প্রথম স্বামী অনুজের মতো সে কখনো কাউকে ভালবাসতে পারেনি।
এরপর শুরু হয় অনুজের ছেলে পুবলু এবং গুড্ডির পালিতা মেয়ে রেশমি লাভ স্টোরি, দীর্ঘ ১৮ বছরের লিপ নেয় এই ধারাবাহিক, রেশমি পুবলু বড় হয়, এদের সম্পর্ক যখন পরিপূর্ণতা পেতে চলেছে, দুজনের বিয়ে হয়ে গেছে ও বৌভাতের অনুষ্ঠান হচ্ছে, অন্যদিকে গুড্ডি রীতিমতো অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, তখন গুড্ডি ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, এতগুলো বছর পর হাজির হয়েছে অনুজ, বাড়িতে এসেছে জানায় তার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে গেছে তার কোন কিছুই মনে নেই, এমনকি নিজের নামটাও সে হারিয়ে ফেলেছে!
কিন্তু দর্শক কিন্তু বুঝতে পারছে যে অনুজ গুড্ডিকে সুখী করবার জন্য মৃত্যুর মিথ্যে নাটক করে চলে গিয়েছিলো, এমনকি এখনো তার সব মনে আছে, স্মৃতিশক্তি তার এতোটুকুও কমে নি, তাইতো গুড্ডি অসুস্থ জেনে সে গুড্ডির সাথে দেখা করতে চায় এবং প্রত্যেকটা কথাতেই সে মুচকি মুচকি হাসে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“পুবলু বুঝতে পারছে যে এই লোকটিকে মামনির কাছে নিয়ে গেলেই আসল ঘটনা জানা যাবে। অনুজ প্রতিটা ঘটনার পরে কিন্তু মুচকি মুচকি হাসছে। এর থেকে বোঝাই যাচ্ছে যে অনুজের সব মনে আছে।”
নেটিজেন যেন আরো লিখেছেন যে,“ অনুজ তুমি সেই দিন গুড্ডির এত কষ্ট,এত অপমান মেনে নিতে পারছিলে না, তাই নিজের জীবনের স্যাক্রিফাইস করে তুমি শুধুমাত্র গুড্ডি’র ভালো থাকার জন্য ওর থেকে দূরে চলে গিয়েছিলে,আবার সরে যাবার আগে তোমার ভালোবাসার কথা গুড্ডিকে জানিয়েও দিয়েছিলে যে, তোমার মন প্রাণ জুড়ে শুধু গুড্ডি আছে, সেখানে কেউ কোনদিনও ছিল না আবার গুড্ডির অসুস্থতার কথা শুনে আর থাকতে না পেরে ওকে দেখতে চলে এলে”
