‘ইচ্ছে করে টানছে বিষয়টাকে যাতে লোক দেখে’ – দমকা হাওয়াতেও উড়লো না মিঠাইয়ের ঘোমটা! মিঠাইয়ের সাথে সিদ্ধার্থের দেখাও হলো না! ট্র্যাকের একঘেয়েমি দেখে এবারে বিরক্ত হয়েছেন দর্শক
টানা ২ বছর ধরে বাংলা ধারাবাহিক জগতের অন্যতম জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হলো জি বাংলা সম্প্রচারিত ‘মিঠাই’। সব রেকর্ড ব্রেক করে ৫৬ সপ্তাহে বঙ্গ সেরা হয়েছিল এই ধারাবাহিক। কিন্তু হঠাৎ করে ধারাবাহিকের মোড় ঘুরে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি বাংলার দর্শক। মিঠাইয়ের মৃত্যুতে ধারাবাহিককে টিআরপি এক ধাক্কায় অনেক নেমে গিয়েছিল। কিন্তু সেই পড়ন্ত টিআরপিকে টেনে তোলার জন্য আনা হয়েছিল মিঠিকে। যদিও সেটা করতে সফল হয়নি মিঠি। টিআরপি কুইনের ধারাবাহিক মিঠাইকে এখন আর প্রথম দশেও দেখতে পাওয়া যায় না।
তবে দর্শকের চাহিদা মেটাতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল পুরনো মিঠাইকে। যদিও শুধু সে নয় তার সাথে ফিরেছিল একটি ছোট্ট বাচ্চা মেয়ে মিষ্টি। যদিও এই মিষ্টি আদেও সিদ্ধার্থ আর মিঠাইয়ের মেয়ে কিনা তা এখনো জানা যায়নি। কিন্তু এই মিঠাই আর মিষ্টি রয়েছে এক বাড়িতে আশ্রিত হয়ে। সেই বাড়ির লোকের নির্দেশ এই মিঠাই কাউকে তার মুখ দেখাতে পারবে না। তাই মাথায় সব সময় ঘোমটা দিয়ে রাখে সে।
কিন্তু এত সবকিছুর মধ্যেই ছোট্ট মিষ্টির সাথে দেখা হয়ে গিয়েছে সিদ্ধার্থের। এরমধ্যে মিষ্টির সাথেই অসমবয়সী একটি বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল। মিষ্টির প্রতি এক অজানা টান অনুভব করেছিল সিদ্ধার্থ। অন্যদিকে মিষ্টির মা হিসেবেই সিদ্ধার্থের সাথে পরিচয় হয় মিঠাইয়ের। কিন্তু মুখ ঢেকে থাকার কারণে সিদ্ধার্থের সাথে দেখা হয়নি মিঠাইয়ের।
অনেকদিন অপেক্ষার পরেও সুযোগ হয়েও দেখা হলো না মিঠাই সিদ্ধার্থের। সেই জন্য রীতিমতো বিরক্ত হয়েছেন দর্শক। একজন লিখেছেন, ‘এই বজ্জাত হাওয়া, ঝড়, বাতাস গুলো যত ভুলভাল সময়ে আসে! কেন এখন এসে মিঠাই এর ঘোমটা টা উড়িয়ে দিতে পারতো নাহ’। প্রসঙ্গত খুব শীঘ্রই দেখা হতে চলেছে মিঠাইয়ার সিদ্ধার্থের। কারণ ইতিমধ্যেই প্রমো এসে গেছে শিবরাত্রির স্পেশাল এপিসোডের। এখন শুধু দর্শক সেই এপিসোডের অপেক্ষায় রয়েছেন।
