বাংলা সিরিয়াল

মাত্র কয়েকটি পর্বে দর্শকদের মন জয় করেছে স্টার জলসার কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ! ধারাবাহিক নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক

সবেমাত্র স্টার জলসার পর্দায় শুরু হয়েছে ‘কমলা এবং শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’। টেলিভিশনের চলা আর পাঁচটা সাধারণ ধারাবাহিকের থেকে একেবারে আলাদা এই ধারাবাহিক। ব্রিটিশ আমলে বাবু বাঙ্গালীদের সময়কার একটি ছোট্ট গল্প দেখানো হবে এই ধারাবাহিকে। এখানে না আছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, পরকীয়া, শাশুড়ি বৌমার খুঁট কাছারি। শুধু আছে দুই কিশোর কিশোরীর দস্যিপনা আর তাদের নিখাদ ভালোবাসার গল্প। একঘেয়ে ধারাবাহিক দেখতে দেখতে যারা বিরক্ত বোধ করছিলেন তাদের কাছে কমলা এবং শ্রীমান পৃথ্বীরাজ অক্সিজেনের মতো।

গল্পের দর্শকেরা জানবেন একটা সময় আমাদের ভারতের ইতিহাসে ব্রিটিশ শাসন গেলে এমন বহু জমিদার ছিলেন যারা রায় বাহাদুর উপাধি পাওয়ার লোভে ইংরেজদের তাবেদারি করতেন। তেমনি একজন মানুষ কমলার বাবা। অন্যদিকে ঠিক এর একেবারে উল্টো হলো গল্পের নায়ক মানিকের বাবা। এখানে মানিক এবং কমলার চরিত্র একেবারেই কিশোর কিশোরী।

নায়িকা কমলার চরিত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি টেলিভিশনের জনপ্রিয় শিশু শিল্পী অয়ন্যা চ্যাটার্জিকে। তাকে আমরা এর আগে বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক করুণাময়ী রানী রাসমণিতে রাসমনির ছোট মেয়ে সারদামণির চরিত্রে অভিনয় করতে দেখেছি। আর তার সাথেই জুটি বেধেছে টেলিভিশনের অন্যতম নতুন মুখ সুকৃত সাহা।

ধারাবাহিক শুরু হওয়ার পর একেবারেই দর্শক পায়নি এই ধারাবাহিকটি। কিন্তু যত আস্তে আস্তে পর্বের সংখ্যা বাড়ছে তত বাড়ছে দর্শক সংখ্যাও। কোন কিছু পড়তে ভালো না লাগলেও। দেখতে তো ভালো লাগবেই। এবার সেই ব্রিটিশ শাসিত ভারতের একটা ছোট্ট গল্প দেখবে মানুষ।

সাধারণ একঘেয়ে ধারাবাহিকের থেকে বাইরে বেরিয়ে একটু অন্য ধরনের গল্প স্বস্তি দিয়েছে বাংলার ধারাবাহিকের দর্শকদের। ফেলেদর্শকেরাও বেশ সন্তুষ্ট। ফলে শুরু হবার পরপরই টিআরপি আসুক না আসুক গুনুমানের দিক থেকে বেশ পছন্দ হয়েছে দর্শকের। এই বিষয়ে একজন যেমন লিখেছেন, ‘কূটকচালিহীন এত সুন্দর একটা ধারাবাহিক! এরম ধারাবাহিক স্টার জলসায় বিরল।

এতটাই সুন্দর প্রযোজনা, জুটি আর সংলাপ দমফাটা হাসি আর মিষ্টি স্বভাব, ইংরেজ বিরোধীদলীয় কার্যক্রম আবার ইংরেজের তোষামোদ, দস্যিপনা আর শান্তি সব ধরনের মেটেরিয়াল আছে এই ধারাবাহিকে টিআরপি কি হবে জানিনা কিন্তু এক সপ্তাহে মন জয় করে নিয়েছে কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ এজন্যই মনে হয় আগেকার দিনের বাংলা সিনেমা এতটা মধুর ছিল, এই ধারাবাহিক দেখলেই ফিল করা যায় মনে হয় কয়েক যুগ আগে পৌঁছে গেছে সময়’।

তাঁর আরো সংযোজন, ‘অনন্ত আধা ঘন্টা তেই মন ভরে গেছে। টিআরপির কথা জানিনা কিন্তু গুণমান এর বিচার এ এই ধারাবাহিক এই মুহূর্তে জলসায় বেস্ট আশা করি এই দুষ্টু মিষ্টি জুটি ছোট থেকে বড় সকলের মন কাড়বে বাকিটা সময় আর দর্শকের উপর.. বাংলার দর্শক তো, সবসময় ভরসা মেলে না। তবে আমার মনে হয় না কোনো নেগেটিভ রিভিউ আছে কমলা ও মানিককে নিয়ে’।

Related Articles