বাংলা সিরিয়াল

‘মিতুল আমাদের জবা পার্ট টু, ওপারে না এমন কোন কাজ নেই’ – মাটির পুতুল বানানো এখন অতীত, থানায় বসে নিমিষের মধ্যে মুখের অবয়ব এঁকে ফেলছে মিতুল! এই ঘটনা দেখে মিতুলকে নিয়ে কটাক্ষ শুরু সোশ্যাল মিডিয়ায়

বর্তমানে জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় এবং চর্চিত ধারাবাহিক হলো ‘খেলনা বাড়ি’। এই ধারাবাহিকে নায়িকা মিতুলের চরিত্রে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে অভিনেত্রী আরাত্রিকা বসুকে। তবে চরিত্রটি এখন বাংলার দর্শকের মুখে মুখে ‘লেডি রঞ্জিত মল্লিক’ নামে বিশেষ পরিচিতি পেয়েছে। আবার কেউ কেউ তাকে ডাকছেন ‘লেডি সিংঘাম’ নামে। এই ধারাবাহিকে মিতুলের স্বামী ইন্দ্রের চরিত্রে অভিনয় করছেন টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা বিশ্বজিৎ ঘোষ। এই অভিনেতাকে এর আগে আমরা দেখেছি ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকে। তাঁদের জুটি ইতিমধ্যেই দর্শকের কাছে বেশ প্রিয় হয়ে উঠেছে।

ধারাবাহিকের দর্শকরা জানবেন প্রথমে মিতুল মাটির পুতুল বানাত। নিজের বাবার কাছ থেকে জন্ম সূত্রে এই গুণ পেয়েছিলেন মিতুল। এত প্রতিভার পরেও মিতুলের স্পষ্টবাদীতা বেশ পছন্দ দর্শকের। খেলনা বাড়ির মিতুল প্রত্যেকটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাপটের সাথে রুখে দাঁড়ায়। মুখের উপর সত্যি কথা বলতে মোটেও ভয় পায় না সে। এদিকে ধারাবাহিকের গল্প যত এগোচ্ছে তত মিতুলের মাটির পুতুল বানানো অতীত হয়ে যাচ্ছে।

ইন্দ্রজিতের সাথে বিয়ের পর লাহিড়ী বাড়িতে বউ হয়ে আসার পর থেকে জটিল থেকে জটিলতার সমস্যার সমাধান করছে সে। তবে শুধু সমাধান নয়, সবটাই একেবারে চলছে ফিল্মি গায়ে দেয়। যার কারণে অনির্বাণের মতো অপরাধীদের বেল্ট দিয়ে পিটিয়ে মিতুল একবার হয়ে উঠেছে ‘লেডি রঞ্জিত মল্লিক’। আবার কখনো জঙ্গিদের হাত থেকে গুগলি সহ স্কুলের অন্যান্য বাচ্চাদের বাঁচিয়ে সে হয়ে উঠছে ‘লেডি সিংঘাম’। এতোটুকুর ঘোর মানুষ এখনো কাটাতে পারেনি। এর মধ্যেই থানায় পৌঁছে প্রত্যক্ষদর্শির থেকে বিবরন শুনে হুবহু অপরাধের মুখ রেখে দিল মিতুল। ফলে সোজা পুলিশ স্টেশনে ছবি আঁকার চাকরি পেয়ে গেল সে।

আর এত সব কিছু দেখে দর্শক বারবার বলছে মিতুলের কাছে এমন কিছু নেই যা অসাধ্য। আর যার ফলে দর্শকের বারবার মনে পড়ছে ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকের জবার কথা। তাইতো একজন খেলনা বাড়ির ভিডিওর কমেন্ট সেকশনে গিয়ে লিখলেন, ‘এই কাজটা তো তুচ্ছ ব্যাপার। এক মিনিটে আমেরিকা-তে গিয়ে ফেরত আস্তে বলা হোক। মিতুল সেটাও পারবে। কারণ মিতুল আমাদের জবা পার্ট ২। কোনো কিছুই অসম্ভব না মিতুলের কাছে’। আবার কারও রসিকতা ‘মিতুল পারেনা এমন কোনো কাজ নেই’।

Related Articles