বাংলা সিরিয়াল

শেষ পর্যন্ত লাবণ্য সেনগুপ্তও দীপার কাছে সোনার আসল পরিচয়টা গোপন করলো, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকে লাবণ্য সেনগুপ্তর উপর ক্ষেপে গেলেন দর্শক

এই মুহূর্তে বাংলা ধারাবাহিক গুলির মধ্যে অন্যতম জমজমা সিরিয়াল হল স্টার জলসার ‘অনুরাগের ছোঁয়া’। ধারাবাহিকটি শুরুর সময় থেকেই বেশ ভালো ফলাফল করেছিল টিআরপি তালিকায়। বর্তমানে তো বাজিমাত করেছে প্রতিটি পর্বে। প্রতিটি পর্বেই থাকছে নিত্য নতুন চমক। শেষ কয়েক মাস ধরে টিআরপি তালিকার প্রথম স্থান দখল করে আছে।

ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্র সূর্য এবং দীপার প্রেম কাহিনী দিয়ে শুরু হয়েছিল এই ধারাবাহিকের গল্প। বর্তমানে তাদের দুই সন্তানের গল্প দেখানো হচ্ছে ধারাবাহিকে। সোনা রুপার জন্যও ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা যেন আরো কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। দর্শকেরা ভেবেছিল হয়তো এবারে সোনা এবং রুপার হাত ধরেই তাদের বাবা এবং মা কাছাকাছি আসবে। তবে কোথায় কি ধারাবাহিকে এখনো সেই একঘেয়ে ট্র্যাক চলছে।

ধারাবাহিকে সূর্য এবং দীপার মধ্যে যে ভুল বুঝে তৈরি করেছিল মিশকা তা এখনো চলছে। কোনোভাবেই সূর্য এবং দীপার সামনে আসল সত্যিটা আসে না বরং ভুল বোঝাবুঝি আরো বাড়িয়ে তুলছে। কিছুদিন আগে আমরা ধারাবাহিককে দেখেছি সূর্য জানতে পেরেছে রুপা আসলে দীপার মেয়ে। তবে পুরো সত্যিটা এখনো সূর্যর সামনে আসেনি। সূর্য অর্ধেক সত্যি জানার পর আবার ভুল বুঝতে শুরু করে দীপা কে।

তবে গতকালের পর্বে দীপা জানতে পারে মিশকা সূর্যর স্ত্রী নয়, সোনার ও কেউ হয় না সে। আর এটা জানার পর সে হতভম্ব হয়ে যায়। মরিয়া হয়ে ওঠে সোনার আসল পরিচয় জানার জন্য। কারণ ইতিমধ্যেই দীপা জানতে পেরেছে সে দুই যমজ মেয়ের জন্ম দিয়েছিল। তাই সে নিজের আরেক হারিয়ে যাওয়া মেয়ে কে খুঁজতে ছুটে আসে লাবণ্য সেনগুপ্তর কাছে। কারণ দীপার ডেলিভারির দিন লাবণ্য সেনগুপ্ত সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তিনি কিছুতেই দীপা কে আসল সত্যি টা জানাননি। এতেই লাবণ্য সেনগুপ্তর উপর ক্ষেপে গিয়েছে দর্শক।

এই প্রসঙ্গে এক নিটিজেন বললেন – ‘দীপা লাবণ্যর পায়ে পর্যন্ত পড়লো তাও লাবণ্য মুখ থেকে কিচ্ছু বের করলো না। আজকে দীপাকে দেখে কান্না পাওয়ার মত অবস্থা হয়ে গেল। একটা মায়ের নিজের সন্তান কে খুঁজে পাওয়ার জন্য কতটা ব্যাকুল। তাও দীপার মাথায় ভালই বুদ্ধি যেই জেনেছে সূর্য মিসকার বিয়ে হয়নি অমনি ডাইরেক্ট সোনাকে নিজের মেয়ে হিসেবে সন্দেহ করা শুরু করলো। বাট দীপা আজকে লাবণ্য কে ভালই বলেছে – আপনি যদি এত কিছু গোপন করে না রাখতেন তাহলে বিষয়টা কোনোদিনই এতদূর গড়াত না। দীপা আর লাবণ্যর মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছিলনা।’

Related Articles