বাংলা সিরিয়াল

‘চিন্তাভাবনার পালাবদল মেয়েবেলায়! প্রকৃত শিক্ষিত পুরুষ ডোডো আর পাপাই বাড়ির কাজের স্ত্রী-মাকে সাহায্য করে বুঝিয়ে দিল কাজের কোন বিভাজন নেই!’-মেয়েবেলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক!

আমরা সমাজের মানুষ আমাদের সংকীর্ণ চিন্তাভাবনা দিয়ে সব সময় কাজের বিভাজন করি, যখন পড়াশোনা ছেড়ে বাড়ির কোন কাজে মেয়েদেরকে হাত লাগাতে দেখি তখন বিব্রত হই না, বিরক্ত হই না, কিন্তু বাড়ির কোন কাজ যখন কোন ছেলে করে তখন বিরক্ত হ‌ই, কারণ আমরা আজন্ম মনে করে এসেছি বাড়ির কাজ করাটা মেয়েদের‌ই ধর্ম, তাই মেয়েদের কাজে ছেলেরা হাত লাগাবে এটা আমরা সহজে মেনে নিতে পারি না, বাস্তবে এরকম ঘটনা হামেশাই দেখা যায় আর তার প্রতিফলন ধারাবাহিকেও দেখা যায়।

কিন্তু কখনো কখনো আবার ধারাবাহিক হয়ে ওঠে নতুনত্বের দিশারী, যেমন স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মেয়েবেলা। এই ধারাবাহিকটি অতিরিক্ত বাস্তব ঘেঁষা আর সেই কারণেই দর্শক এই ধারাবাহিকটিকে ভীষণ পছন্দ করেন। বাপ মা মরা অনাথ মৌকে মেসোর সংসারে কথা শুনতে দেখে আমরা সেটাকে বাস্তবের সাথে রিলেট করতে পারি আবার মাসি মৌকে ভালবাসলেও মেসোর ভয়ে তিনি কিছুই বলতে পারেন না এও যেন আমাদের চিরপরিচিত চরিত্র,আবার পরিবারের মধ্যে থেকেই নির্যাতিতা হয় টিকলি, কিন্তু পারিবারিক কলঙ্কের ভয়ে তা চেপে যাওয়া হয়-সবটাই আকছাড় আমাদের চোখের সামনে ঘটে।

সম্প্রতি মেয়ে বেলায় ডোডো আর পাপাই এই দুটো চরিত্রের মধ্য দিয়ে দেখানো হচ্ছে বর্তমানে পুরুষ চরিত্র কতটা উন্নত। তারা নারী-পুরুষে ভেদাভেদ করে না , স্ত্রীকে নিজের সহধর্মিনী ঞ্জান করে নিজের মনের সমস্ত কথা অকপটে স্বীকার করে। নতুন শুরু করা দাম্পত্যে যাতে কোন ঝামেলা না হয় তাই চাঁদনীর সাথে দেখা হলে কি প্রসঙ্গ কি ঘটনা সবটাই মৌকে নিজে থেকে কৈফিয়ত দেয় ডোডো- এই সবটাই আমাদের চারপাশে
ঘটা চিরপরিচিত দৃশ্য।

সম্প্রতি মেয়েবেলায় দেখানো হলো যে, স্ত্রীর সাথে বিছানা গোছানোর কাজে হাত লাগাচ্ছে ডোডো আর পাপাই মাকে নারকেল কোড়ার কাজে সাহায্য করছে, এই যে ছেলে মেয়ের কাজের বিভাজন তা ঘুছিয়ে দিয়েছে মেয়েবেলা তাই এই ধারাবাহিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে ,“চিন্তা ভাবনার পালাবদল ঘটালো মেয়েবেলা প্রকৃত
শিক্ষিত পুরুষ হল ডোডো আর পাপাই। স্ত্রীকে বিছানা গোছানোর কাজে আর মাকে নারকেল কোড়াতে হেল্প করল।
তবে এটাও সত্যি যে ওরা দুজনেই ইতালি আর দুবাইতে গিয়েছিল বলেই ছেলেমেয়ের কাজের যে কোন বিভাজন হয় না এটা বুঝতে পেরেছে।”

Related Articles