বাংলা সিরিয়াল

‘দেখ রানু মণ্ডল পার্ট টু এটা মিমি’ – সাংসদ অভিনেত্রী মিমিকে না চিনতে পেরে প্রশ্ন করলেন নন্দিনী ‘মিমিটা কে?’ আবার জানান একেবারেই পছন্দ করেননা নুসরাতকেও, চূড়ান্ত কটাক্ষ সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে

নন্দিনী, ওরফে মমতা গঙ্গোপাধ্যায়। ডালহৌসের পাইস হোটেলের এই মালকিন এখন রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন ইউটিউবার ছুটে যান তাঁর সাথে কথাবার্তা বলতে। সেখান থেকেই রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে উঠেছেন ‘স্মার্ট দিদি নন্দিনী’। তবে এবার হঠাৎই একটি বেফাঁস মন্তব্য করলেন নন্দিনী। তিনি নাকি একেবারেই চেনেন না অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে।

একজন ইউটিউবার নন্দিনীর সাথে কথা বলতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, তাঁর যদি বায়োপিক তৈরি হয় তাহলে নিজের চরিত্রের জন্য অভিনেত্রী হিসেবে তিনি কাকে বেছে নেবেন? অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী, নুসরাত জাহান নাকি নিজেই অভিনয় করবেন? অভিনেত্রী নুসরাতকে তো এক কথাতেই নাকচ করে দিয়েছেন নন্দিনী। এরপরেই অবাক হয়ে প্রশ্ন করেছেন, ‘মিমিটা কে?’ সাংসদ মিমি চক্রবর্তী নাম শোনার পরেও চিনতে পারেননি। এমন কী ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’র রেফারেন্স দেওয়া হলেও মুখ মনে করতে পারেননি সোশ্যাল মিডিয়ার স্মার্ট দিদি।

তবে উত্তরের নন্দিনী জানিয়েছেন অভিনয়টা নাকি তাঁর দ্বারা হবে না। কারণ হিসেবে বলেন আজকাল যেকটা প্রমোশন করছেন সেখানেও ডায়লগ বলতে গিয়ে হাল খারাপ হয়ে যায় তাঁর। এমনকি দিদি নাম্বার ১ এর মঞ্চে গিয়েও নাকি অবস্থা টাইট হয়ে গিয়েছিল তাঁর। তবে এর আগে নন্দিনীর মুখে শোনা গিয়েছিল তিনি ইউটিউবার হতে চান। প্রসঙ্গত পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার ছিলেন নন্দিনী।

ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করে, চাকরি করার সময় বাইরেও ছিলেন। কিন্তু বাবার পাশে দাঁড়ানোর জন্য চাকরি ছেড়ে ডালহৌসি এসে ভাতের হোটেলে যোগ দিতে হয় তাঁকে। এরপর থেকেই টানা দু’বছর ধরে পাইস হোটেলের ব্যবসা সামলাচ্ছেন নন্দিনী। নন্দিনী জানিয়েছেন বেশ কয়েক বছর আগেও বাবার আর্থিক অবস্থা ভালো থাকার কারণে দুই বোন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছে এবং তিনি ফ্যাশন ডিজাইনিং করেছেন। কিন্তু নোট বন্দির সময় তাঁর বাবার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর টাকার কারণে মায়ের গয়না থেকে বাড়ি সমস্ত কিছুই বিক্রি করে দিতে হয়। এরপর তাঁর বাবা ডালহৌসিতে আসেন প্রত্যেকদিন ২০০ টাকা কাজে। তারপর থেকেই তাঁদের এই ভাতের হোটেলের ব্যবসা চলছে।

যাইহোক প্রসঙ্গত সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে একেবারেই না চিনতে পারার বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ার নেটাগরিকদের মোটেই পছন্দ হয়নি। সুতরাং ভিডিও ভাইরাল হতেই কমেন্ট সেকশনে একেবারে ট্রলের বন্যা বয়ে গিয়েছে। তবে এর আগেও অনেকবার নন্দিনী নিজের বেফাঁস কথাবার্তা এবং ব্যবহারের জন্য কটাক্ষের সম্মুখীন হয়েছেন। এবারেও ঠিক তাই হলো। ভিডিওটি দেখে বিরক্ত হয়ে একজন মন্তব্য করে লিখেছেন। ‘কেমন একটা ছেলেছেলে হাবভাব। সারাক্ষণ অহংকার। কথা বললেই মনে হয় ঝগড়া করবে’। আবার এক নেটিজেন মিমির ছবি দিয়ে কমেন্টে লিখলেন, ‘দেখ রাণু মণ্ডল পার্ট টু এটা মিমি। তোর অবস্থাও এবার স্টেশনে হবে যা দেখছি’।

Related Articles