বাংলা সিরিয়াল

“তোমার মরে যাওয়া উচিত” – অবসাদগ্রস্ত অবস্থায় দুই বছর ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন নেহা আমনদীপ, কেন ২ বছর নিজেকে ঘরবন্দি রেখেছিলেন অভিনেত্রী? কি বললেন তিনি?

নেহা আমনদীপ, বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। বাঙালি না হয়েও তাঁর বাঙালি হাবভাব, বাঙালি আদব-কায়দা সবটাই দর্শক বেশ পছন্দ করেছিলেন। জি বাংলা জনপ্রিয় ধারাবাহিক “স্ত্রী” সিরিয়ালের হাত ধরে প্রথম অভিনয় জগতে পদার্পণ করেন তিনি। এই ধারাবাহিক তাঁকে এতটা জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল যে এরপর অভিনেত্রীকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর “কনে বউ” ধারাবাহিকে শেষ দেখতে পাওয়া যায় তাঁকে। কিন্তু এরপর হঠাৎ এই দু বছরের মতো সময় কালে একেবারে গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁকে সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি। কিন্তু কোথায় ছিলেন অভিনেত্রী?

দু বছরের মতো সময় কালে একেবারেই গুপ্ত ভাবে ছিলেন অভিনেত্রী। শুক্রবার দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নেহা। এই দিনই সঞ্চালিকা রচনার সামনে নিজের এই দু বছরের গল্পের ঝুলি খুলেছেন তিনি। অভিনেত্রীকে বলতে শোনা যায়, “ছোটছিলাম আমি। কিছু কথা শুনে আমি ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দিলাম। কেন ছাড়লাম সেটা নিজেও ঠিকভাবে ব্যাখা করতে পারব না। আমার মনে হত আমার মাথার মধ্যে কোনও তৃতীয় ব্যক্তি কথা বলছে। সে বলত, তুমি এই পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ। তোমাকে বিচ্ছিরি দেখতে, তোমাকে কেউ আপন করে নেবে না। তোমার মরে যাওয়া উচিত… আমার এই সব মনে হত”।

নিজের মানসিক অসুস্থতার কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন নেহা। অভিনেত্রী আরো সংযোজন, “আমি ভয় পেতাম লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে। আমি রুমের বাইরে বার হতে পারতাম না। কাজের ব্যাপারে কেউ ফোন করলে ফোন ধরতাম না… ডিপ্রেশন শব্দটা সেই বুঝতে পারে যে সেটার মধ্যে দিয়ে যায়। মানে তুমি নিঃশ্বাস নিচ্ছো, কিন্তু তুমি বেঁচে নেই”।

অভিনেত্রী আরো জানিয়েছেন, নেহার এই রূপ মানসিক অসুস্থতার জন্য তাঁর মা তাঁকে বিভিন্ন মন্দিরে নিয়ে যেতেন। আর সেখানে গিয়ে অভিনেত্রী বেশ কিছুটা শান্তি অনুভব করতেন। পুজো প্রার্থনার কারণে বেশ কিছু পজিটিভিটি এসেছে তার জীবনে। অভিনেত্রী বলেন, “ঠাকুরই আমাকে বাঁচিয়েছে, হয়ত উনি চান না আমি মরে যাই”।

নিজের পজিটিভিটি বিয়ে নেহার উদ্দেশ্যে রচন বলেন,”তুমি নিজের জীবনে কিন্তু উইনার। তোমাকে ভাবতে হবে আমার জীবনে যে পার্টটা পেরিয়ে এসেছো সেটা আর কেউ পারেনি, তাই তোমাকে ভাবতে হবে “আই অ্যাম দ্য বেস্ট”। নিজের জন্য বাঁচো, অন্যের জন্য না। কোনও তৃতীয় পুরুষ, চতুর্থ পুরুষ যেন তোমার জীবনকে চালিত না করতে পারে”।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন বাদে আবার ছোট পর্দায় দেখতে পাওয়া গেল নেহাকে। কিন্তু পুরো রিয়েলিটি শো এর খেলা কমপ্লিট করতে পারেননি অভিনেত্রী। খেলতে গিয়ে হাতে এবং পায়ে চোট পান তিনি। যার কারনে মাঝপথে খেলা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় তাঁকে। সোল্ডার ডিজলোকেট হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু অল্প কিছুক্ষণ সময়ের জন্য হলেও ছোট পর্দায় অভিনেত্রীকে দেখে আপ্লুত তাঁর অনুরাগীরা।

Related Articles