বাংলা সিরিয়াল

“এটা মানুষ না অনলাইন অ্যাপ?” – মিঠাই প্রথমে পাঁচ দিনে প্রেগন্যান্ট তারপরে বাচ্চার ডেলিভারিও হয়ে গেল! এসব কিছু দেখেই সোশ্যাল মিডিয়ায় খিল্লি করছেন নেটিজেনরা

একসময় বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো “মিঠাই”। দীর্ঘ ৫৬ সপ্তাহ টেলিভিশনের রেকর্ড ব্রেকিং পারফরমেন্স করতে দেখতে পাওয়া গিয়েছে এই ধারাবাহিককে। কিন্তু বেশ কিছু সপ্তাহ ধরে লাগাতার ধারাবাহিকের টিআরপি নেমেছে। প্রথম হাওয়া তো দূরের কথা প্রথম তিনেও দেখতে পাওয়া যায়নি এই ধারাবাহিককে। আবার বেশ কিছু সপ্তাহ ধরে তো প্রথম পাঁচ থেকে ছিটকে বেরিয়ে গেছে “মিঠাই”। এই ধারাবাহিক বর্তমানে নিজের আটটার স্লট থেকে এগিয়ে গিয়ে ছটার স্লটে হয়ে গেছে। এর কারণ হিসেবে দর্শকেরা বারবার দোষারোপ করছিল ধারাবাহিক নির্মাতা এবং চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে। তাদের কাছে বারবার দর্শকেরা অনুরোধ জানিয়েছিলেন যাতে ধারাবাহিকে কিছু পরিবর্তন এনে প্রগ্রেস করা হয়।

সোশ্যাল মিডিয়াতে বারবার দর্শক দোষারোপ করেছেন গল্পের লেখিকাকে। শুধু তাই নয় নির্মাতাদের ওপরেও বারবার দোষ গিয়ে পড়েছে। আবার চ্যানেল কর্তৃপক্ষ কেও দোষারোপ করা হয়েছিল যে কেন তারা প্রমোশন করছেন না। এছাড়াও দর্শক মনে করছিলেন যে ধারাবাহিকের মোড় ঘুরালে অবশ্যই ধারাবাহিক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবে। কিন্তু বর্তমানে ধারাবাহিকের বিশাল বড় একটা টার্নিং করানোর পরেও আগের মত জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি।

স্লট চেঞ্জ হওয়ার পরেই ধারাবাহিকের গল্পে একটি বড় প্লট আনা হয়। মিঠাইয়ের কোল আলো করে আনা হয় ছোট্ট গোপাল। তবে এবার সেই নিয়ে শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে খিল্লি। কারণ দীর্ঘ ৯ মাস দেখিয়ে দেওয়া হয় মাত্র ৫ দিনে। আর তারপরেই দেখানো হয় মিঠাই ঠাকুমা দাদুর সাথে গুরুদেব আশ্রমে। আর সেখানেই তার প্রসব হয়। তারপরে দেখানো হলো গুরুদেবের আশ্রমেই মিঠাই এর ছেলে হল।

আর এই ঘটনাটা ধারাবাহিক এত তাড়াতাড়ি দেখানো হয়েছে যে তাতেই একেবারে খোঁজে আগুন মিঠাই ভক্তরা। যেমন একজন বিরক্ত হয়ে লিখেছেন, “এটা মানুষ না অনলাইন অ্যাপ যে এত তাড়াতাড়ি ইনস্ট্যান্ট সবকিছু হয়ে যাচ্ছে”। এই পুরো বিষয়টি নিয়ে রীতিমত বিরক্ত দর্শক। সুতরাং ধারাবাহিকের নির্মাতা এবং চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে মিঠাই ভক্তরা আগেও দোষারোপ করেছিলেন। আর এবারেও এই নতুন স্লট এর জন্য দোষারোপ করছেন।

Related Articles