‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাক্তিগত আক্রমণ করলে খারাপ লাগে’, নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডের জন্য ট্রোলের শিকার টলিউড অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত
টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন বনি সেনগুপ্ত। বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে খবরের শিরোনামে প্রায়দিনই উঠে আসছে অভিনেতার নাম। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চলছে বনিকে নিয়ে নানান রকম সমালোচনা। নিজের অভিনয়ের জন্য তিনি দর্শকমহলে যতটা না জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তার থেকে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন কুন্তল ঘোষ এর থেকে ৪৪ লক্ষ টাকার গাড়ি উপহার নিয়ে। দুর্নীতিতে নাম জড়ানোর পর থেকে সময়টা ভীষণই খারাপ যাচ্ছে বনির। কারণ নতুন ছবিও একেবারে সাফল্যের মুখ দেখেনি।
সাক্ষাৎকারের অভিনেতা জানিয়েছেন দুর্নীতির সঙ্গে যাতে তার নাম না জড়ায় তার জন্যই তিনি টাকাটা ফেরত দিতে চেয়েছেন। আর এটা সম্পূর্ণই তার পরিশ্রম করে উপার্জন করা টাকা। যারা বলেছেন তিনি যে ধরনের অভিনেতা তার পারিশ্রমিক এত হওয়া উচিত নয়, তাদের কেউ তিনি কড়া জবাব দিয়েছেন। আর তার উপার্জন করা সব টাকায় সাদা টাকা কোনটাই কালো টাকা নয়। টাকা ফেরত দিতে গিয়ে তার নিজেরও আর্থিক বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে এ কথা স্বীকার করেছেন অভিনেতা।
বনির কথায় তিনি ভুল করেছেন, কোন অন্যায় করেননি। যদিও এসব করে কতটা নিজের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে পারছেন অভিনেতা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কারণ সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এখন অভিনেতাকে নিয়ে ট্রল করা হচ্ছে, মিম বানানো হচ্ছে। অভিনেতার একটি কথা ঘিরে সমালোচনা করা হচ্ছে বনি কে নিয়ে। বনির ‘লিডিং মোস্ট হিরো’ মন্তব্য নিয়ে এখনো খিল্লি চলছে নেটপাড়ায়।
এতে অবশ্য বিশেষ পাত্তা দিচ্ছেন না বনি। তাঁর কথায়, ‘২০১৪ তে যেদিন থেকে অভিনয়ে পা রেখেছি, সেদিন থেকে আমাকে নিয়ে ট্রোলিং হচ্ছে। আমার গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। যারা ট্রোল করে তাদের আমি সম্মান করি। কারণ এটাই ওদের অনেকের উপার্জনের পথ। তবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করলে খারাপ লাগে’। তিনি আরো বলেন, বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা অভিনেত্রীদের ছোট করে দেখা একটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের বেশি উপার্জন হতে পারে না এরকমই ধারণা মানুষজনের।
বাংলা ছবিকে যতদিন না বড় জায়গায় ভাবা হবে ততদিন ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি সম্ভব নয়। তবে এসবের মাঝে নেটিজেনরা অভিনেতার প্রেমিকা কৌশানিকে টেনে এনেছেন। আর তাতেই বেজায় রেগে গিয়েছেন বনি। তাঁর বক্তব্য, যা করেছেন তিনি করেছেন। কিন্তু যেহেতু তিনি বনির সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন তাই তাঁকেও মাঝে আনা হয়েছে।
