Stories

“বাবার থেকে কোন শিক্ষাই পায়নি”, অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বড় রকমের অভিযোগ আনলেন জনপ্রিয় অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়

একসময় বাংলা চলচ্চিত্র জগতের দাপুটে ভিলেন ছিলেন অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। প্রায় প্রতিটি ছবিতেই অভিনেতাকে ভিলেন চরিত্র দেখা যেত। আর প্রতিটি চরিত্রতেই নিজেকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরতেন অভিনেতা। বর্তমান সময়ে যদিও অভিনেতাকে টেলিভিশনের পর্দায় বা বড় পর্দায় দেখা যায় না।

তবে মাঝেমধ্যে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন এই অভিনেতা। বিভিন্ন বিতর্কমূলক কারণে অভিনেতা খবরের শিরোনামে উঠে আসেন। যেমন কয়েকদিন আগেই বর্তমান সময়ের বাংলা ধারাবাহিক নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি এবং সেই নিয়ে লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায় কে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেন। সেই নিয়ে অনেক বড় সমস্যা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পরে অভিনেতা ক্ষমাও চেয়ে নেন লেখিকার কাছে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাপস পালকে গান স্যালুট দেওয়াটাকে সমর্থন করেন? অকপটে তাঁর জবাব, ‘সত্যি কথা বলতে ব্যক্তিগতভাবে আমার ভালো লাগেনি। কারণ এটা নেতাদের দেয়, শহীদদের দেয়। ওরা (রাজ্য সরকার) দিয়েছে ওদের খুশি। সে পেয়ে গেছে বেচারা ভালো। ভালো অভিনেতা ছিল। কিন্তু আমার সঙ্গে পরের দিকে খুব অভদ্র ব্যবহার করেছিল শেষের দিকে।’

প্রসঙ্গত অভিনেতা জানান একসময় তাপস পাল এক বড় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন সেই সময় তার মাথায় ৩৪ টা সেলাই পড়েছিল ওই সময় তাপস পাল কে বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের রক্ত দিয়েছিলেন। ঠিক একই ভাবে নাকি শেষ সময় অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় ও তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। আর এই সমস্ত প্রসঙ্গে উঠে আসে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়ের কথা।

‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট বেঙ্গল’কে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের এখনকার একজন শিল্পী.. মহান শিল্পী, অনেক পাঠ করছে। সল্টলেক থেকে সে যাবে কালিকাপুর, আমি যাব দেশপ্রিয় পার্ক। সে পরিষ্কার গাড়ির ছেলেটাকে বলল, আগে আমাকে কালিকাপুর নামাবে তারপর দেশপ্রিয় পার্ক যাবে। সে বলল এটা! আমি তো ওর বাবা ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায় কে বলেছি, ‘এই আপনি শিক্ষা দিয়েছেন ছেলেকে?’ একদম চুপ ওর বাবা।’

এখানেই থেমে থাকেননি বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সংযোজন, ‘আমরা নিজেরা…সৌমিত্রদা কোথায় থাকতেন, আমি তাঁকে পৌঁছে দিয়ে নিজে বাড়ি আসতাম। এটা বাড়াবাড়ি নয়, এটা স্বাভাবিক। বয়স্ক মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞান এঁদের নেই। এঁরা অনেককিছু পেয়ে গিয়েছে। এদের মানুষ বলব আমি? কোনওদিন বলব না’।

Related Articles