Viral

‘হাজার হাজার মেয়ে এরকম ভাতের হোটেল চালায়। কন্তু তাঁদের রূপ নেই বলে ভাইরাল হতে পারে না’ – দিদি নাম্বার ওয়ান – এর মঞ্চে এসে নিজের ঘটনা বলে কেঁদে ফেললেন নন্দিনী ওরফে মমতা গঙ্গোপাধ্যায়, সোশ্যাল মিডিয়াতে শুরু হল চরম ট্রোলিং!

গোটা বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো (Reality show) জি বাংলার (Zee Bangla) ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ (Didi no 1) এর মঞ্চে গত বুধবার উপস্থিত ছিলেন ডালহৌসি (Dalhousie) পাড়ার ভাতের হোটেল চালানো নন্দিনী (Nandini) ওরফে মমতা গঙ্গোপাধ্যায় (Mamta Gangopadhyay)। সোশ্যাল মিডিয়াতে (Social media) ‘স্মার্ট দিদি’ (Smart didi) বা ‘নন্দিনী ম্যাডাম’ (Nandini madam) নামে বেশ চর্চায় রয়েছেন তিনি। এই দিন দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন সবুজ রঙের একটি শাড়িতে। তাতে বেশ সুন্দর দেখতে লাগছিল তাঁকে। এমনিতেও ইউটিউবেও (YouTube) তাঁর রূপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শকেরা। এমন কী ইউটিউবাররা এমন প্রশ্ন করেন যে, ‘তুমি এভাবে আগুনের সামনে থাকো সবসময়, তাও কালো হও না!’

রচনার (Rachna) সাথে কথা বলতে গিয়ে নন্দিনী জানিয়েছেন আগে যেখানে দিনের ২০টা প্লেটের (Plate) বেশি বিক্রি হতো না সেখানে এখন ৬০ থেকে ৭০ টা প্লেট বিক্রি হয়ে যায়। জীবনের লড়াই সম্পর্কে বলতে গিয়ে নন্দিনী বলেন আগে পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালই ছিল। তাঁর বাবার রবারের ব্যবসা ছিল। তাই তিনি ফ্যাশন ডিজাইনিং (Fashion designing) করেছেন এবং অন্য দুই বোন ইঞ্জিনিয়ারিং (Engineering) করেছে। কিন্তু হঠাৎই নোট বন্দি হওয়ার সময় বাবার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়।

এরপরে ধীরে ধীরে সমস্ত জমানো টাকা বাড়ি এমনকি মায়ের গায়ের সমস্ত গয়না বিক্রি করে দিতে হয়। এরপর তাঁর বাবা ডালহৌসিতে (Dalhousie) গিয়ে ২০০ টাকার রোজে চাকরি করা শুরু করে। তখন তিনিও পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য চাকরি নিয়ে চলে যান। এরপরেই তাঁদের বাবা একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ভাতের হোটেল (Hotel) খোলেন। কিন্তু হঠাৎ মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় দোকান বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা চলে আসে।

তাই তাঁকেও চাকরি ছেড়ে চলে আসতে হয় কলকাতায় (Kolkata)। ফিরে এসে বাবার সাথে হোটেলের ব্যবসায় সাহায্য করতে শুরু করেন। নন্দিনীর বাবাকে প্রত্যেকদিন ভোরে ওঠে বেলেঘাটার (Beleghata) বাজারে যেতে হয়। বাজার নিয়ে আসার পর মা বীনা কুটনো কেটে দেন। এরপর বাবা আর মেয়ে মিলে রান্নার কাজকর্ম শুরু করে দেন।

তারপরে সবার সামনে হাসিমুখে খাবার পরিবেশন করে দেন নন্দিনী। নিজের জীবনের কাহিনী আর সেই লড়াইয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসার কথা বলতে গিয়ে চোখে জল চলে আসে নন্দিনীর। এরপরে রচনা কেও তাঁর ভাতের হোটেলে খেতে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। এই ভিডিওর সামনে আসতে রীতিমতো ভাইরাল (Viral)। তবে কিছু দর্শক যেমন প্রশংসা করছেন নন্দিনীর। কিছু অংশের দর্শক তুমুল সমালোচনাও করছেন।

এর কারণ ইউটিউবে ইন্টারভিউ (Interview) দেওয়ার সময় নন্দিনী বলেছিলেন তিনি হোটেল ম্যানেজমেন্ট (Hotel management) করেছেন আর সেই কাজেই বাইরে গিয়েছিলেন। কিন্তু দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে সে নতুন কথা বলছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে একজন কমেন্ট করেছেন, ‘হাজার হাজার মেয়ে এরকম ভাতের হোটেল চালায়। কন্তু তাঁদের রূপ নেই বলে ভাইরাল হতে পারে না’। আরেকজন আবার লিখলেন, ‘কারণ ছাড়াই কেঁদে দিল। বোকা বোকা। হাসি পেল দেখে’। তৃতীয় একজন কমেন্ট করেছেন, ‘এবার শুধু বায়োপিক বানানো বাকি আছে’।

Related Articles