Viral

হটাৎএক যুবকের গায়ে হাত তুললেন নন্দিনী! ‘এর অবস্থান বাদাম বলা বা রানু মন্ডলের মত হবে, বেশি ভাব নেয়!’ – আবারও একবার এক ব্যক্তির সাথে বচসায় জড়িয়ে যেতে দেখতে পাওয়া গেল ডালহৌসির পাইস হোটেলের নন্দিনীকে, সোশ্যাল মিডিয়ার বিতর্ক শুরু তাঁকে ঘিরে

মমতা গঙ্গোপাধ্যায় (Mamta Gangopadhyay), সোশ্যাল মিডিয়াতে (Social media) বর্তমানে বেশ চর্চিত চরিত্র তিনি। যদিও সেখানে মমতা নন নন্দিনী (Nandini) নামে বেশি পরিচিত তিনি। ডালহৌসির (Dalhousie) অফিস পড়ায় কয়লাঘাট (Koylaghat) এলাকায় পাইস হোটেল (Pice hotel) চালান। আর এই ফুটপাথ থেকে জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন তিনি। তাঁর ব্যবহার এবং খাবারের স্বাদের প্রশংসা করেছেন বহু মানুষ।

তবে শুধু তাই নয় একের পর এক বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্যে জড়াচ্ছেন নন্দিনী (Nandini)। প্রথমে অভিযোগ আসে এক ইউটিউবারের (YouTuber) পক্ষ থেকে। তিনি জানান নন্দিনী তাঁকে ভিডিও (Video) করতে দেননি। এরপরেই আরেকটি বিতর্কিত ভিডিও সামনে আসে যেখানে দেখা যায় নন্দিনীর সাথে বচসা হচ্ছে এক ভদ্রলোকের। তবে এরপরই একটি ভিডিও সামনে আসে যেখানে না মেয়ে তাঁর নিজের কথাগুলি পেশ করেন দর্শকের সামনে। এরপরের একটি ভিডিওতে ইউটিউবে কেন নন্দিনীর সাথে নোংরা ঠাট্টা করতে দেখা যায়।

এসব নিয়ে বচসার মাঝে নন্দিনীকে নিয়ে আরো একটি ভিডিও ভাইরাল (Video viral) হয়। নতুন সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে প্রথমে ব্যক্তির কলার ধরে তারপর থেকে হাত ধরে টানতে টানতে দোকান থেকে বার করে নিয়ে যাচ্ছেন নন্দিনী। ভিডিওটি দেখলে মনে হতে পারে যে সোশ্যাল মিডিয়ার (Social media) ‘স্মার্ট দিদি’ (Smart didi) হয়তো নিজেই বচসার সূত্রপাত করেছেন। কিন্তু পরে জানা যায় সমস্ত সত্য।

এই ঘটনাটি ঘটে একদম দুপুরে। তখন দোকান ভর্তি কাস্টোমার। এক ব্যক্তি এসে খাবার চাইলে নন্দিনী তাকে বলেন এই মুহূর্তে খাবার দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ সম্পূর্ণ মদ্যপ অবস্থায় দোকানে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন সেই ব্যক্তি। দোকানে উপস্থিত কাস্টোমার (Coustomer) বিশেষত মহিলাদের কথা ভেবেই নন্দিনী বলেছিলেন এই মুহূর্তে তাকে খাবার তিনি দিতে পারবেন না। এরপরই সেই ব্যক্তি জোর করে টেবিলের একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে বসে পড়েন।

এর পরে শুরু হয় বচসার। তবে নন্দিনী প্রথমে ভালোভাবে কথা বললেও লোকটি অস্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে। ফলে নন্দিনী ভীষণ রেগে গিয়ে তার কলার ধরে তাকে দোকানের বাইরে কিছুটা দূরে ছেড়ে দিয়ে আসেন। দোকানে উপস্থিত আশেপাশের ব্যক্তিরাও নন্দিনীর হয়েই কথা বলে ফলে লোকটি সেখান থেকে চলে যান।

এই ভিডিওটি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social media) ভাইরাল হয়েছে। তবে নেটাগরিকদের নজরে খুব ভালোভাবে আসেনি এই ঘটনাটি। অনেকেই ভিডিওর কমেন্ট সেকশনে (Comment section) বিরূপ মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘এর অবস্থান বাদাম বলা বা রানু মন্ডলের মত হবে, বেশি ভাব নেয়!’, আরেকজন লেখেন, ‘উনি তো সমাজসেবা করছেন না, বা বিনা পয়সায় কোনো পথশিশুকে খাবার দিচ্ছেন না। ধান্দা করে যাচ্ছেন অনবরত। তা হলে এতো পিরিতের কী দরকার। বয়কট করুন সবাই। একদিন এই ঠান্ডা হয়ে যাবে। আদিক্ষেতা যতো সব’।

Related Articles