বাংলা সিরিয়াল

“মিম হওয়ার বিষয়টিকে আমি পজিটিভ দৃষ্টিতেই দেখছি”, সমাজ মাধ্যমে ট্রোলিং নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী পল্লবী শর্মা, দাঁড়ালেন শাশুড়ী মা কৃষ্ণার পাশেই

‘মিঠাই’য়ের টাইম স্লট পেয়েছিল ‘নিম ফুলের মধু’, তা শুরুতে অনেকেরই পছন্দ হয়নি, তবে যত দিন গেছে ততই এই রাত আটটার প্রাইম স্লটটিকে আপন করে নিয়েছে রুবেল দাস ও পল্লবী শর্মার ‘নিম ফুলের মধু’। মেয়েদের বিয়ে হওয়ার পর পুরোপুরি আলাদা একটি বাড়িতে এসে অনেকগুলো কয়েকদিন হয়েছে চেনা লোকের সাথে দিন কাটানো, সব মিলিয়ে বাস্তব ধরা পরেছিল এই ধারাবাহিকে।

পর্ণার বিয়ের পর শ্বশুড়বাড়িতে গিয়ে যে সমস্ত অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল তা কমবেশি বাংলার অধিকাংশ মা কাকিমারাই পেয়েছিল। যার জেরেই এই ধারাবাহিকের যাদু কাজ করে গেছে। টিআরপি তালিকায় সেরা ৫-এ প্রায় অনেকদিন ধরেই টিকে আছে। তবে মাঝে মাঝে বিরক্তিরও কারণ হয়ে ওঠে এই ধারাবাহিক, আর তারপরেই সমাজ মাধ্যমে শুরু হয় মিম পোস্ট আর ট্রোলিং।

বিয়ের পর সৃজনের মা কৃষ্ণা ছেলে আর ছেলেবউকে কখনো একসাথে দেখলেই ‘বাবুউউউউ’ বলে ডেকে সরিয়ে দেন সৃজনকে। কৃষ্ণার তার ছেলেবউ পর্ণাকে তেমন পছন্দ হয়নি, আর তাই এতকিছু করেন কৃষ্ণা তাঁদের আলাদা করার জন্য। মাঝে পর্ণার থেকে লুকিয়ে তিন্নির সাথে বিয়ের ব্যবস্থাও করেছিল কৃষ্ণা, তবে সঠিক সময়ে পর্ণা সাধিকা সেজে এসে তার বরের বিয়ে চটকে দেয়।

আর তার জন্যই নানান কথা শুনতে হয় কৃষ্ণা অর্থাৎ অভিনেত্রী অরিজিতা মুখোপাধ্যায়কে। তবে এবেলা বৌমা পর্ণাকে পাশে পেলেন‌ তিনি। পল্লবী এত ট্রোলিং নিয়ে জানান, “মিম হওয়ার বিষয়টিকে আমি পজিটিভ দৃষ্টিতেই দেখছি। শত ব্যস্ততার মধ্যেও মানুষ আমাদের কাজ দেখছেন এবং মিম বানাচ্ছেন এ বিষয়টিকে আমি সাফল্য হিসেবেই ধরি”। তিনি আরো জানান কোনো মানুষেরই কেবল ইতিবাচক দিক থাকে তেমনটা কখনোই হয় না, আমরা যেমন মানুষ, সিরিয়ালের চরিত্ররাও তেমনি মানুষ। তাই তারাও গড়ে উঠেছে ভালো খারাপ মিশিয়ে। তিনি আরো জানান যে বিয়ের পর প্রত্যেকটি ছেলের মায়ের মনে ইনসিকিউরিটি তৈরি হয়, নিজের ছেলে এবার থেকে তার মনের সব কথা তার বউকে জানাবে, এমন কথা বলতে গেলে সব মায়েরাই ভাবে, আমার শাশুড়ি কৃষ্ণাও ঠিক ওরকমই একজন মা।

Related Articles