জুঁইয়ের অভিমান ভাঙানোর চেষ্টা করছে শুভ্র! নায়কের প্রচেষ্টা দেখে আনন্দে উচ্ছসিত ধারাবাহিকের অনুরাগীরা
নতুন শুরু হওয়া ধারাবাহিকগুলির মধ্যে জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হলো জি বাংলার ‘সোহাগ জল’। সদ্য শুরু হওয়া ধারাবাহিকের জুটি বেঁধেছেন শ্বেতা ভট্টাচার্য এবং হানি বাফনা। এই জুটি দর্শকদের সামনে একেবারেই নতুন তবে বেশ পছন্দের হয়ে উঠেছে। তবে ধারাবাহিকের শুরু থেকেই জুটির মধ্যে একটা বিচ্ছেদ দেখানো হয়েছে। এই ধারাবাহিকির গল্প বেশ খানিকটা আলাদা হয়ে উঠেছে অন্য ধারাবাহিকগুলি থেকে।
ধারাবাহিকের দর্শকেরা জানবেন একটি চুক্তির মাধ্যমে বিয়ে হয়েছে শুভ্র আর জুইয়ের। জুইয়ের দাদা, জয়শঙ্কর একপ্রকার ষড়যন্ত্র করে এই বিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে জমি পাওয়ার লোভে জুঁইকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গিয়েছিল শুভ্র। কিন্তু সেই জমি সে আজও পায়নি। সাধারণভাবে সে বুঝে যায় যে তাকে ঠকানো হয়েছে। কিন্তু এসব কোন কিছুই জানতো না জুঁই। তারপরেও শুভ্র ভুল বুঝেছিল জুঁইকে।
এরপর দুজনে মিলে খুঁজতে থাকে জয়শঙ্করকে। কিন্তু সে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। এরপর জুঁই অনেক বুদ্ধি বার করে ধরে নেয় তার দাদাকে। আর সে নির্দোষ প্রমাণিত হয়। এরপর সে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসে। কারণ সে আগেই কথা দিয়েছিল যে দাদাকে খুঁজে বার করতে পারলে শেষ শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে দেবে।
কিন্তু জুঁই বেরিয়ে গেলেই, শুভ্র তাকে খুঁজতে বেড়ায় আর পেয়েও যায়। তারপর তার মান ভাঙ্গানোর চেষ্টা করে। দুজনে মিলে একটি দোকানে চা খেতে যায়। যেখানে গিয়ে জুঁই বলে যে সে টোস্টে চিনি খায়। সেই দেখে শুভ্রও বলে সেও টোস্টে চিনি খেতে চায়। এসবে জুঁই অস্বস্তি বোধ করলে সে শুভ্রকে বলে তাকে যেন ভুলে যায়। উল্টে শুভ্র তাকে বলে আপনি কী পারবেন আমাকে ভুলে যেতে?
এরপরেই দেখা যায় জুঁইয়ের আঁচলের সাথে শুভ্রর হাত আটকে গেছে। জুঁই আর শুভ্রের মাঝে এই ছোটখাটো দুষ্টু মিষ্টি দৃশ্য বেশ মনে ধরেছে বাংলার দর্শকের। তাদের মনের আশা যে এভাবেই হয়তো শুভ্র আর জুঁইয়ের মিল হয়ে যাবে। তাদের মধ্যে হয়তো নতুন করে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হবে। এই আশায় দিন বাঁচে ‘সোহাগ জল’ ধারাবাহিকের অনুরাগীরা।
