সূর্য আর দীপার সংঘাতের বলি হচ্ছে রুপা! নিজের মাকে কিনা মা বলেই ডাকতে পারবে না! এতোটুকু মেয়ের ওপর এতটা মানসিক চাপ দেওয়ার কি খুব প্রয়োজন? ক্ষেপে যাচ্ছেন দর্শক
স্টার জলসা(Star Jalsha)র অত্যন্ত জনপ্রিয় ধারাবাহিক অনুরাগের ছোঁয়া(Anurager Choya)। অত্যন্ত বলার থেকে সর্বাধিক বললেও কিছু কম হবে না। কারণ যেভাবে এই ধারাবাহিক একটার পর একটা সপ্তাহ বেঙ্গল টপার এর শিরোপা ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাতে বলতেই হয় বাংলার এই মুহূর্তের সব থেকে জনপ্রিয় ধারাবাহিক অনুরাগের ছোঁয়া।
এই ধারাবাহিক দেখিয়ে দিয়েছে পরকীয়া, দুটো তিনটে বিয়ে না করেও কিভাবে টিআরপি তালিকাতে রাজ করা যায়। সূর্য এবং দীপা দীর্ঘদিন আলাদা থাকলেও তারা নিজেদের জীবনে তৃতীয় কোন ব্যক্তিকে আসতে দেয় নি। বরং নিজেদের মেয়েকে মানুষ করছেন আলাদাভাবে। ধারাবাহিকের দুজন ছোট্ট সদস্য সোনা এবং রুপা যেভাবে নিজেদের অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করে রেখেছে তা বলার নয়।
প্রসঙ্গত ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী রুপা মানুষ হচ্ছে দীপার কাছে। আর সোনা মানুষ হচ্ছে তার বাবা সূর্যের কাছে। তারপরেও দুই বোনের আত্মার টান এতটাই যে দুজন দুজনকে ছাড়া থাকতে পারে না। উল্টো দিকে রুপার সঙ্গে বেজায় বন্ধুত্ব তার নিজের বাবার। যদিও সে জানে না সূর্যই তার বাবা। আবার সোনার সঙ্গে খুব ভাব ফুলমায়ের। যে আসলে তার নিজের মা।
তবে গল্প এতদিন এইভাবে এগোলেও দর্শকরা পছন্দ করছিলেন বেশ। কিন্তু এবার আর মেনে নিতে পারছেন না অনেকে। বিশেষ করে সোনা দীপার জীবনে আসার পর থেকে যেভাবে রুপার প্রতি একচোখামি করে চলেছে দীপা সেটাই অনেকে মেনে নিতে পারছেন না। কারণ দীপা বলেছে যখন সূর্য এবং সোনা সামনে থাকবে তখন যেন সে তার নিজের মাকে ফুল মা বলে ডাকে।
নিজের মাকে ফুল মা বলে ডাকতে বেশ কষ্ট হচ্ছে সোনার। এই কথা সে বারবার জানিয়েছে তার মাকে। তারপরেও কোনরকম হেরফের হয়নি। বরং সোনাকে নিয়েই একটু একটু করে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে দীপা। অন্যদিকে রুপা যে তার নিজের মেয়ে তার প্রতি যত্ন হারাচ্ছে সে। এই জিনিসটাই একেবারে মেনে নিতে পারছেন না দর্শক। রুপার কথা রেস ধরেই একজন লিখেছেন,’মা,ও মা…তোমাকে অনেকক্ষন মা বলে ডাকতে পারিনিতো তাই মা বলে ডাকতে খুব ইচ্ছা করল.. আমার আর এই লুকোচুরি খেলা ভালো লাগছেনা মা..তুমিইতো বলো যে ছোটোদের মিথ্যা কথা বলতে নেই..আমিতো ছোটো বলো”..
“মা হিংসুকুটিকে পেয়ে আমাকে একদম ভুলেই গেছে,হিংসুকুটিকে নিয়েই থাকে,রূপার কথাতো মনেই পড়েনা”
(বয়স অনুযায়ী রূপার উপর অনেক মানসিক চাপ পড়ছে..একটা বাচ্চামেয়ে বড়োদের সংঘাতের বলি হচ্ছে)’।
যদিও ধারাবাহিকে দেখা যেতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি সূর্যের সামনে আসতে চলেছে রুপার মা আসলে দীপাই। কারণ রুপা স্কুলের পরিচয় পত্রে তার মায়ের নামের জায়গায় লেখা রয়েছে দীপা সেনগুপ্তের নাম। তাই দর্শকরা মনে করছেন হয়তো এবার রুপার দুঃখের দিন শেষ হতে চলেছে।
