‘বধূ নির্যাতনের একটা সীমা থাকা উচিৎ! জঘন্য সিরিয়াল!এই সিরিয়ালে সব ভিলেন পার্টি উপস্থিত হয়েছে’, এক্কা দোক্কার এপিসোড তুমুল ট্রোল সোশ্যাল মিডিয়ায়!
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘এক্কা দোক্কা’। এই ধারাবাহিকে রাধিকা আর পোখরাজের কেমিস্ট্রি দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, রাধিকা তার বাবাকে নির্দোষ প্রমাণ করবার জন্য পোখরাজকে বিয়ে করে, পোখরাজ কিন্তু প্রথম থেকেই রাধিকাকে ভালোবেসে এই বিয়েতে রাজি হয়। তবে বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি রাধিকার জন্য কণ্টক শয্যায় পরিণত হয়। শ্বশুর বাড়ির প্রত্যেকে তার ওপর রীতিমতো টর্চার করতে থাকে।
কখনো তার রান্না করা খাবারে বেশি করে ঝাল দিয়ে দেয় তার ননদরা, কখনো তাকে প্রচন্ড লাউড মেকাপ দিয়ে দেয়,যাতে তাকে বাজে দেখতে লাগে এবং লোকজন তাকে খারাপ বলে। বৌভাতের রাত্রে রাধিকাকে পরবার জন্য কাজের লোকের পোশাক দেওয়া হয়। এই সব কিছুর কারণে রাধিকা যখন হাসাহাসির শিকার হচ্ছিলো, তখন পোখরাজ তার পাশে দাঁড়ায়, তার জন্য একটা নতুন শাড়ি এনে দেয়, ফুলের সাজ এনে দেয় এবং নিজে হাতে তাকে সাজিয়ে সবার সামনে প্রেজেন্ট করে রাধিকার সম্মান রক্ষা করে।
এই পোখরাজকেই আড়াল করে রাধিকা একটি কাজ করে। নিজের বাপিকে নির্দোষ প্রমাণ করতে গিয়ে রাধিকা শ্বশুরবাড়ির একজনের আলমারি সার্চ করতে থাকে এবং সেখান থেকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টও সে পেয়ে যায়। এরপর তাকে যখন সবাই চোর বলে তখন সে নীরব থাকে।
সম্প্রতি একটি এপিসোডে দেখা যাচ্ছে রাধিকাকে চোর বলে যারপরনায় অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে শ্বশুরবাড়ির প্রত্যেকটি মানুষ আর রাধিকা এর উত্তরে কিছুই বলছে না। কারণ এত বড় অপবাদের উপর মুখ খুলে তার বলার নেই, যে সে তার বাপির জন্য সবটা করেছে। তাই সে সবটা সহ্য করে যাচ্ছে। এই এপিসোড দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন লিখেছেন,
“বধূ নির্যাতনের একটা সীমা থাকা উচিৎ। জঘন্য সিরিয়াল।এই সিরিয়ালে সব ভিলেন পার্টি উপস্থিত হয়েছে।”