বাংলা সিরিয়াল

তীব্র হতাশা চেপে ধরেছিল তাকে! বাথরুমে জোড়ে কল চালিয়ে কাঁদতেন! নিজের অতীতের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে শিউরে উঠলেন মুকুটের এই অভিনেত্রী

টেলিভিশন পর্দায় আমরা বহু চরিত্র দেখি এগুলি হয়তো ঠিক মুখ্য চরিত্র নয়। কিন্তু সেই চরিত্রগুলিও যেন আমাদের পরিবারের একটি অংশ হয়ে ওঠে। আর মাঝে যখন হঠাৎ এই চরিত্রগুলিকে আমরা ধারাবাহিকে দেখতে পাই না আমরা ভাবতে থাকি কেন সেই চরিত্রকে আর দেখা যাচ্ছে না। কৌতু হলি হয়ে উঠে রীতিমত।

দীর্ঘ বছর টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী ইন্দ্রাক্ষী নাগ(Indrakhi Nag)। বর্তমান প্রজন্মের যারা ধারাবাহিক প্রেমী তারা না চিনতে পারলেও যারা বিগত ১০-১২ বছর ধরে বাংলা বিনোদন জগতের অতপ্রোত দর্শক তারা ঠিক চিনতে পারবেন অভিনেত্রীকে। ২০১০ সালের জি বাংলার পর্দায় সম্প্রচারিত ‘সাত পাকে বাঁধা’ ধারাবাহিকে তাকে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেন বিনোদন দুনিয়া থেকে। ছোট পর্দা বড় পর্দা কোন মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে। নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন সামাজিক মাধ্যম থেকেও। তবে এতদিন সেই নিয়ে কথা না বললেও অবশেষে এক সাক্ষাৎকারে নিজের অতীত সম্পর্কে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী।

সম্প্রতি তার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেকে প্রাইভেট রাখার পেছনে কি কারন রয়েছে। তাতে তিনি উত্তর দিয়েছেন,’২০২১-২০২২ এই দুটো সালকে আমি আমার জীবনের ব্ল্যাক হোল বলে মনে করি। এই দুটো বছর আমার জীবনে একটা অন্ধকার সময়। ওই সময় আমি চারিদিকে হাতরাচ্ছিলাম আলোর আশায়, আর সেই সময় আমি নিজেকে পেয়েছি, নিজেকে ভালবাসতে চেয়েছি। আমি যখন নানা মোটিভেশনাল স্পিকারদের কথা শোনা শুরু করি’।

একই সঙ্গে জানিয়েছেন জীবনের সবথেকে খারাপ দিনগুলি যখন কাছের মানুষকে ভীষণভাবে পাশে দরকার ছিল তার। তখন কেউ এগিয়ে আসেনি তার দিকে। কথা প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন,’এমনও দিন গেছে আমার ৩৫ হাজার টাকা লাগবে কিন্তু আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পড়ে আছে ১২০০ কি ১৩০০।

আমি যে শুধুমাত্র এই ব্ল্যাক হোলের মধ্যে দিয়ে ডিপ্রেশনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি তা নয় তার সাথে সাথে আমি কাজও করেছি সব কিছু সামলে সেই মুহূর্তে আমার ডাক আসে মা সারদায় আর তারপর তারাপীঠ এ। আমি জানি না কেউ বুঝতে পেরেছিল কিনা কিন্তু আমি তখনও সে সেজদার মধ্যে দিয়ে ভীষণভাবে যাচ্ছিলাম। আমি বাথরুমে কল চালিয়ে কাঁদতাম যাতে কেউ না শুনতে পায়। আমিও চিৎকার করতাম। যেরকম আমরা অভিনয় করি যে চিৎকার গুলো কেউ শুনতে পায় না সাউন্ডলেস চিৎকার’।

অভিনেত্রী এখনো তার বাবা-মায়ের সঙ্গে সল্টলেকের বাড়িতেই থাকেন। জানিয়েছেন কাজের ফাঁকে সুযোগ পেলেই বেলুড় মঠে আসেন। সেখানে গুরুজির কাছে দীক্ষিত তিনি। এমনই এক সময়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে এই স্বামীজী তাকে বলেছিলেন যেমনটা হচ্ছে সেটাকে মেনে নাও এগিয়ে যাও।

অভিনেত্রীর কথা স্পষ্ট বারবার নিজেকে ভালোবাসার কথা। নিজেকে ভালবাসলে তবেই সমস্ত রকম কষ্ট সহ্য করে এগিয়ে যাওয়া যায়। কঠিন সময় কাটিয়ে ওঠা যায়। বর্তমানে মুকুট ধারাবাহীকে অভিনেত্রীকে দেখা যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই ইন্দ্রাক্ষী নাগের ভক্তরা এতদিন পর নিজের পছন্দের তারকাকে ফিরে পেয়ে খুশি।

Related Articles