বাংলা সিরিয়াল

‘দত্ত বাড়ির মেয়েদের নাইটি পরতে না দিলে বাড়ির ছেলেদের হাত কাটা গেঞ্জি পরা বন্ধ করে গরম পোশাক পরিয়ে দেবে পর্ণা!’ নিম ফুলের মধু দত্ত বাড়ির হাওয়া গরম দেখে বলছেন দর্শক!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধু। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে, পর্ণা দত্ত বাড়ির বউ হয়ে আসার পর সে বুঝতে পারে যৌথ পরিবার সম্পর্কে সে গল্প ও সিনেমা দেখে যেমনটা ভেবেছিল যৌথ পরিবার আসলে তেমনটা নয়, বাস্তবে যৌথ পরিবারের মানুষগুলোর মধ্যে অনেক জটিলতা ও সমস্যা থাকে এবং থাকে বহু পুরোনো ধ্যান ধারণা। সেই পুরনো ধ্যান-ধারণা কেই ভাঙতে চলেছে পর্না। দত্ত বাড়ির বউদের বাড়ির ছেলেদের পরে খেতে বসার রেওয়াজ সে ভেঙে দিয়েছে, বাড়ির বউ চাকরি করতে পারবেনা এই নিয়ম‌ও সে ভেঙে দিয়েছে,এমনকি বিয়ের পর সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা জানবার জন্য একটি নিয়ম ছিলো, সেটিও পর্ণা অবলীলায় ভেঙে দিয়েছে।

আসলে পর্না হল সেই হাওয়া যা সমস্ত বদ্ধ শিকলকে ও বদ্ধ হাওয়াকে মুহূর্তের মধ্যে সরিয়ে আধুনিক ও স্বচ্ছ চিন্তাভাবনার প্রসার ঘটায়। এই কারণে বর্ষার সাথে কতগুলি ছেলে দুর্ব্যবহার করলে বর্ষার বিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে ছেলেগুলির নামে থানায় কমপ্লেন করাকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছিল পর্ণা। সম্প্রতি নিম ফুলের মধুর একটি নতুন প্রোমো দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

যেখানে দেখা যাচ্ছে, দত্ত বাড়ির হাওয়া গরম। চারিদিকে প্রচন্ড গরম এবং অসহ্য পরিবেশের মধ্যে দত্ত বাড়ির পরিবারের মেয়ে বউদের কথা ভেবে পর্ণা নাইটি কিনে এনে বড় জেঠিকে দিয়ে বলে এই নাও জেঠি নাইটি এই গরমে শাড়ি পরতে হবে না, তোমাদের সবার জন্য নাইটি কিনে এনেছি। – পর্নার হাতে নাইটি দেখে পর্নার জ্যাঠাশ্বশুর রেগে গিয়ে সেই নাইটি আগুনে ফেলে দিয়ে বলে দত্ত বাড়িতে কেউ নাইটি পরেনি আর কেউ পরবেও না, নাইটিটা আগুনে ফেলার হাত থেকে পর্না বাঁচিয়ে নেয় আর বলে দিলেন তো আমার তারটা কেটে এবার দত্ত বাড়ির সবাইকে আমি নাইটি পরিয়েই ছাড়বো।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন মজা করে এই প্রোমো দেখে লিখে বলেছেন যে, পর্ণা যে ধরনের মেয়ে তাতে বাড়ির মেয়ে বউদের নাইটি পড়ার অনুমতি না দিলে হয়তো এই গরমে বাড়ির ছেলেদের হাত কাটা গেঞ্জি পরে ঘোরা বার করে দেবে, অথবা তাদেরকে গরমের পোশাক পরিয়েও রেখে দিতে পারে, পর্নাকে বিশ্বাস নেই।

Related Articles