বাংলা সিরিয়াল

‘আমাকে বলা হয়েছিল বীথি বৌমাকে বিষ দেবে না উল্টে রান্নায় নুন কম হলে দিয়ে দেবে!অথচ এপিসোডের বিথী চরিত্র আকাশ পাতাল ফারাক!বারবার বলার পরেও চরিত্রে নেগেটিভিটি কম হয় না!’রূপা গাঙ্গুলীর সরে দাঁড়ানোর কারণ শুনে প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক!

মেয়ে বেলা ছেড়েছেন রূপা গাঙ্গুল, আমাদের ছোটবেলাকার দ্রৌপদী, কপিলা বেশ কিছুদিন ধরেই হয়ে উঠেছিলেন আমাদের আদরের বিথি মাসি বা বিথীকা মিত্র। কিন্তু হঠাৎ করে এই চরিত্রটি ছেড়ে দেন তিনি আর তার জায়গায় আসে নতুন মুখ! রূপা গাঙ্গুলীর বিথী চরিত্র ছাড়ার পরে প্রশ্ন উঠতে থাকে তিনি কেন কাজটি ছেড়ে দিলেন?-তার উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, তার অভিনীত চরিত্রটিকে দিনদিন যেভাবে নোংরা ভাবে প্রেজেন্ট করা হচ্ছিলো, সেটা তিনি মানতে পারছিলেন না। এই চরিত্রটি করতে করতে তিনি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ছিলেন এবং এমন‌ও দিন গেছে যে তাকে বাড়ি ফিরে রাতে কাঁদতে হয়েছে, কারণ তাকে বিথি চরিত্রটি যেভাবে ব্রিফ করা হয়েছিল আর এপিসোডে বীথি চরিত্রটি তাকে যেভাবে করতে বলা হয়েছিল দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল ফারাক। এরপর দর্শকদের মনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে যে, কেমন ভাবে লেখা হয়েছিলো বীথি চরিত্রটি?

তার উত্তরে অভিনেত্রী বলেন যে,“আমাকে বলা হয়েছিল তোমাকে যে সিরিয়ালে নেওয়া হচ্ছে সেটা একদম নতুন ছকের গল্প,শেষ হওয়ার ২০ বছর পরও দর্শক মনে রাখবে,যেখানে শাশুড়ি বৌমাকে বিষ দেবে না উল্টে রান্নায় নুন কম হলে শাশুড়ি আগ বাড়িয়ে যত্নসহকারে দিয়ে দেবে।” এমনকি রূপা গাঙ্গুলী এও বলেন যে, তাকে বলা হয়েছিল, তার অভিনীত চরিত্রটি একদম অন্যরকম, সে লেখালেখি করে। কিন্তু পরবর্তীতে তাকে বলা হয় ছেলের বউ যখন ডাইরি পেন এনে দেবে তখন সে লেখালেখি করবে।

রূপা গাঙ্গুলীকে এও বলা হয়েছিল যে, বিথী চরিত্রের ছোটবেলা, কলেজ লাইফ সবটা তুলে ধরা হবে, কিন্তু দিন দিন অভিনেত্রী দেখলেন বীথিকা চরিত্রকে টিপিক্যাল ভিলেন করা হচ্ছে। অভিনেত্রী বক্তব্য, এই সময় দাঁড়িয়ে তিনি মানতে পারেন না যে মানুষ ভালো জিনিস দেখেন না, একই সাথে তিনি এও বলেন এই সময় দাঁড়িয়ে তিনি বধূ নির্যাতন করতে পারবেন না, বারবার তিনি বিথী চরিত্রের নেগেটিভিটি কমানোর কথা বলতে থাকেন, কিন্তু তাতে কোন কাজ হয় না, তাই তিনি ধারাবাহিক থেকে সরে দাঁড়ান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন রূপা গাঙ্গুলীর সাথে সহমত হয়ে লিখেছেন যে,
“আমাকে বলা হয়েছিল তোমাকে যে সিরিয়ালে নেওয়া হচ্ছে সেটা একদম নতুন ছকের গল্প,,,শেষ হওয়ার ২০ বছর পরও দর্শক মনে রাখবে,,যেখানে শাশুড়ি বৌমাকে বিষ দেবে না উল্টে রান্নায় নুন কম হলে শাশুড়ি আগবাড়িয়ে যত্নসহকারে দিয়ে দেবে।-এমন প্রশংসনীয় স্ক্রিপ্ট রূপা গাঙ্গুলির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল।

হ্যাঁ আমরা দর্শকরাও সেটাই আশা করেছিলাম ।কিন্তু যেদিন বীথিকে দেখলাম চাঁদনীকে ডোডোর ঘরে পাঠালো সেদিন দেখা বাদ দিয়েছিলাম।পরে মাঝে মাঝে ক্লিপ দেখতাম।

আমাদের মতো রূপা ম্যামও অনেক উত্তেজনা নিয়ে ফিরছিলেন কারণ তাকে এমন স্ক্রিপ্ট দেওয়া হয় যা উনার মনে ধরে যায়!আর তিন চার মাস প্রস্তুতি নিয়ে তিনি কাজের জন্য তৈরি হয়েছিলেন।কিন্তু এসব negativity তার চরিত্রে দেখে তিনি বারবার বলার পরও স্ক্রিপ্ট যখন চ্যাঞ্জ করেন নি তখনই তার সরে আসা।
উনার কাজের প্রশংসা না করে পারছিনা।এই মুহুর্তেও এমন বলিষ্ঠ প্রতিবাদ সত্যিই বিরল!”

Related Articles