পরপর দুটি সপ্তাহের টিআরপি তালিকায়একেবারে প্রথম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক “কার কাছে কই মনের কথা”। একেবারে বাস্তবসম্মত ধারাবাহিক এটি।
অনেকেই আজকাল এই ধারাবাহিকের সঙ্গে নিজের জীবনের মিল খুঁজে পাচ্ছেন। বিশেষত নারী কেন্দ্রিক ধারাবাহিক “কার কাছে করে মনের কথা”। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির মাটির কামড়ে পড়ে থেকে স্বামী আর দেওরের বিরুদ্ধে শিমুলের লড়াইকে, কুর্নিশ জানাচ্ছেন অনেক মহিলারাই।
সাম্প্রতিক পর্বে এই ধারাবাহিকের নায়িকা শিমুলকে মেরে ফেলার চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছিল তার স্বামী পরাগ, দেওর পলাশ আর দেওরের হবু বউ প্রতীক্ষাকে। সেই চেষ্টায় তারা ব্যর্থ হয়।
তবে শিমুল যাতে ন্যায়বিচার পায় সেজন্য তার পাড়ার বান্ধবী বিপাশা সুচরিতারা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় শিমুলের স্বামী আর দেওরের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশের কাছে সমস্তটা অস্বীকার করে শিমুল। সে জানায়, সে নিজের হাতেই বিষ খেয়েছে মান অভিমানের জন্য।
আর এই ঘটনার পর থেকেই শিমুলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে বিপাশা সুচরিতাদের। আর এই ঘটনার পর স্বামীর থেকে ৫ লাখ টাকা দাবি করে বসেছে শিমুল। যেহেতু সে পরাগকে পুলিশের হাতে পড়ার থেকে বাঁচিয়েছে তাই, ৫ লাখ টাকা চেয়েছে শিমুল। এই শুনে মাথায় হাত পরাগের।
শুধু তাই নয়, প্রতিমাসের মাইনের অর্ধেক টাকাটাও চেয়েছে সে। তা না হলে কেসটাকে আবার ওপেন করার চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে শিমুল।
আরও পড়ুন : পর্ণার বুদ্ধিতে ইশার শয়তানি আবারও প্রকাশ্যে! ধুন্ধুমার পর্ব “নিম ফুলের মধু”তে
এই টাকা চাওয়ার কথা মায়ের কাছে জানিয়ে দেয় পরাগ আর পলাশ। ছেলের কষ্টে উপার্জন করা টাকা বৌমা দাবি করছে শুনে, পালটি খেলেন শিমুলের শাশুড়ি মধুবালা। ছেলেদের দোষের জন্য তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়টা মেনে নিতে পারলেও, পাঁচ লাখ টাকা দাবি করার বিষয়টি একেবারেই হজম করতে পারেন নি তিনি।
যদিও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় শিমুল। মধুবালার পালটি খাওয়া দেখে অবাক হচ্ছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন : একি কাণ্ড মধুমিতার প্রাণের প্রিয় মেয়ের! মায়ের মাথায় হাত রেখে মিথ্যে বললো ময়ূরী
