বাংলা সিরিয়াল

সামান্য খাসির মাংসের জন্য এত রাগ যে স্ত্রীকে ঘরে ঢুকতে দেয় না সৃজন? স্বামীর ব্যবহারে কষ্ট পেল পর্না, ঘরের বাইরে সারা রাত কাটিয়ে দিল

জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক(Bengali Serial) নিম ফুলের মধু(Nim Phuler Modhu)। শুরু থেকেই এই ধারাবাহিককে ঘিরে আলোচনা-সমালোচনা লেগেই রয়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন কারণে পর্নাকে এক ঘরে করে দেয় শ্বশুরবাড়ি লোকেরা। আর সেটাকেই ভালোভাবে মেনে নিতে পারেন না দর্শকেরা। বিয়ে হয়ে আসা ইস্তক যেভাবে পর্নাকে হেনস্থা করা হচ্ছে সে নিয়ে আগেও কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে সৃজনের পরিবারের একাংশকে।

সম্প্রতি ধারাবাহিকে পর্না তার বাড়ির লোককে নিয়ে সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির মানুষ মিলিয়ে পিকনিকের আয়োজন করেছে। সেখানে ঠিক হয় খাসির মাংস হবে। এবং মাংসের জন্য পরিবার পিছু সবার থেকে ৫০ টাকা করে চাঁদা নেয়। সৃজনের বাবা দেয় হাজার টাকা। কিন্তু তাতে খাসির মাংসের টাকা উঠে না। অন্যদিকে পড় না সৃজনের কাছে চাইলে সে জানিয়ে দেয় বাজে খরচ করাতে সে গুরুত্ব দিতে নারাজ।

স্বাভাবিকভাবেই পর্না বিপদের পড়ে যায়। কারন সে বাড়ির সবাইকে বড় মুখ করে বলেছে পিকনিকে খাসির মাংসই হবে। অগত উপায় না দেখে সে নিজের বাবার থেকে টাকার যোগাড় করে। কিন্তু সমস্যা বাঁধে ঠিক এর পরে। যখন খাসির মাংসের টাকা কোথা থেকে এলো সেটা ভরা হাটের মাঝে কৃষ্ণা পর্নাকে জিজ্ঞাসা করে তখন সে এড়িয়ে যেতে চায় উত্তর। কিন্তু কৃষ্ণা কোনভাবেই তাকে ছাড়তে নারাজ। সকলের সামনে বাধ্য করে উত্তর জানতে।

কিন্তু পর্না যখন কোনোভাবেই মুখ খুলছে না তখন তার ওপর গয়না চুরির দোষ দেওয়া হতে শুরু করে। যে সে গয়নার বিক্রি করে মাংসের টাকা জোগাড় করেছে। এ সময় পর্নার ভাই একে অপমানিত হতে দেখে জানিয়ে দেয় সে তার বাবার থেকে টাকার যোগাড় করেছে। তখনই শ্বশুরবাড়ির লোক অপমান করতে শুরু করে পর্নাকে। বিশেষ করে তার শাশুড়ি এবং জ্যাঠা। মুখ থেকে খাবার পর্যন্ত ছুড়ে ফেলে দেয় তারা।

রেগে যায় সৃজন। তবে তার রাগের বহর একটু বেশিই। এতটাই রাগ যে রাতে স্ত্রীকে ঘরে পর্যন্ত ঢুকতে দেয় না। আর সৃজনের এই ব্যবহারে কষ্ট পায় পর্না। কিন্তু দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে পর্না ভাবতে থাকে যদি সে এখন অন্যের ঘরে শুতে যায় তাহলে সবাই বুঝতে পারবে ব্যাপারটা লজ্জা জনক হবে। তাই দরজার বাইরেই দাঁড়িয়ে সৃজনের ব্যবহারে কষ্ট পেতে থাকে সে।

Related Articles