ঐশানীর দিদিকে নিজের বাড়ি এনে ঐশানীর পাশে দাঁড়ালো শঙ্কর! হর গৌরী পাইস হোটেলের নতুন প্রোমো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়!
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’। এই ধারাবাহিকে শুভস্মিতা মুখার্জি আর রাহুল মজুমদারের জুটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ধারাবাহিকে একটা যৌথ পরিবারের কনসেপ্ট দেখানো হয় আর দেখানো হয় দুই মেরুর দুই বাসিন্দার কাছাকাছি আসার গল্প। সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতিতে বিয়ে হয় ঐশানী আর শঙ্করের। এরপর প্রতিমুহূর্তে ঐশানীর মন জয় করতে চেষ্টা করে শঙ্কর।
ঐশানীর প্রিয় হট চকলেট আনা থেকে শুরু করে তার সুবিধা অসুবিধার দিকে নজরে রাখা তার পাশে দাঁড়ানো এই ভাবেই শংকর ঐশানীর সম্পর্কের সমীকরণ ধীরে ধীরে জটিল থেকে সহজ হয়ে উঠছে। হরগৌরী পাইস হোটেলের সর্বময় কর্তা হল শংকর সে একজন দায়িত্বপরায়ণ ছেলে ।অন্যদিকে ঈশানী হলো একজন শিক্ষিতা কলেজ পড়ুয়া আধুনিকা মেয়ে। দুজনের জগৎ সম্পূর্ণ আলাদা, দুজনের এক হওয়ার কোন জায়গায় নেই তা সত্ত্বেও দুজনের বিয়ে হয়।
আসলে এই পুরো বিয়েটাই দাঁড়িয়ে আছে অনেক খানি মিথ্যের ওপর। ঐশানীর জামাইবাবু ঐশানীর শিক্ষা বিষয়ের সবকিছু লুকিয়ে প্রচুর মিথ্যে বলে ঐশানীর বিয়ে দেয় শঙ্করের সাথে।
তবে বিয়ের পর ঐশানী যেদিন প্রথম ঘরে পা রাখলো সেদিনই সে বুঝেছে যে তাকে অনেক মিথ্যে বলা হয়েছে আর তার শ্বশুর বাড়িতে ও তার বিষয় নিয়ে অনেক মিথ্যা কথা বলা হয়েছে। এরপর থেকে শঙ্কর ঐশানীকে চিনবার চেষ্টা করছে তার পাশে থেকে।
এই ধারাবাহিকের বর্তমানে একটি প্রোমো দেওয়া হয়েছে, যেখানে দেখানো হচ্ছে যে, ঐশানী তার শ্বশুর বাড়িতে এসেছে শংকরের সাথে, কিন্তু শংকর আর ঐশানীর সাথে আরো এক জন এসেছে, সে হলো ঐশানীর বড় দিদি। শংকর আর ঐশানীর সাথেই সে শংকরের বাড়িতে এইবার থেকে থাকবে। শঙ্করের মা তাকে দেখে বুঝতে পারে যে সে ভরা পোয়াতি। এপার শংকর সবাইকে বলে দিদি আজ থেকে এই বাড়িতেই থাকবে। এটা শুনে ঐশানীর বড় জা মিতালী বলে, বোনের শ্বশুরবাড়িতে থাকবে,লাজ লজ্জা কি এতটুকুও অবশিষ্ট নেই? -তখন দেখা যায় যে, শঙ্কর ঐশানীর পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলে।
সে সবার সামনে বলে যে, আমার বাড়িতে যদি আমার ভাই-বোনেরা থাকতে পারে তাহলে আমার বউয়ের বোন কেন আমার বাড়িতে থাকতে পারবে না?- সবার সামনে এভাবে ঐশানীকে সাপোর্ট করায় ঐশানী ও গর্বিত হয়।
