বাংলা সিরিয়াল

চোখে নেই এক ফোঁটাও জল! ঢাকের তালে নেচে নেচে শ্বশুরবাড়ি গেলেন গেলেন সোহাগ জলের ‘মউ’, বরের গালে এঁকে দিলেন চুমু

দীর্ঘদিনের বন্ধু, ব্যবসায়ী রামগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিয়ে করলেন ‘সোহাগ জল’ ধারাবাহিকের মউ অর্থাৎ জনপ্রিয় অভিনেত্রী অস্মিতা মুখোপাধ্যায়। ২৬ তারিখ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন দুজনে।

এরপর ২৭ তারিখ বাবার বাড়ি ছেড়ে শ্বশুরবাড়ি যাওয়া নিয়ম রয়েছে। স্বামীর হাত ধরে নিয়ম মেনে শ্বশুরবাড়ি গেলেন নববধূ অস্মিতা। কিন্তু বাবার বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সময় একটুও চোখের জল ফেলেননি তিনি।

বাবার বাড়ি মানেই, যেখানে জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা সবটাই সেখানে। তাই স্বাভাবিকভাবেই বিয়ে হয়ে গেলে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার আগে নিজের সেই চেনা পরিচিত বাড়ি ছেড়ে যেতে প্রত্যেকটা মেয়েরই ভীষণ কষ্ট হয়।

আরও পড়ুন : ব্লুজের সব সিরিয়াল দেখার দরকার নেই একটি দেখলেই হবে! যোগমায়াতে নায়কের হবু স্ত্রীর চরিত্রে চাঁদনী থাকবেন শুনেই বলছেন দর্শক!

ছোটবেলার স্মৃতি মা, বাবা, সব কিছুকেই ছেড়ে যেতে হয় অন্যের বাড়ি।। বহু যুগ ধরে এই প্রথায় চলে আসছে। তাই বিয়ের পরদিন বিদায় এর সময় নববধূ সহ তার পরিবার পরিজনের চোখে থাকে জল।

তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম অস্মিতা। কান্নার বালাই নেই তাঁর। কান্নাকাটির করেননি তো বটেই,মন খারাপ করে বসেও থাকলেন না তিনি। তার বদলে লাল টুকটুকে বেনারসি পড়ে সেটি ভর্তি সিঁদুর নিয়ে ঢাকের তালে নাচতে দেখা গেল অস্মিতাকে। নাচার পাশাপাশি এদিন বরকে চুমুও খেলেন অস্মিতা। বিয়ে করে যে তিনি খুবই খুশি সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না

ইনস্টাগ্রামে বিয়ের নানান মুহূর্তের ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী অস্মিতা মুখোপাধ্যায়। হুগলির বৈদ্যবাটীর বনবীথি পিকনিক গার্ডেনে বসেছিল বিয়ের আসর। শুভদৃষ্টির সময় বর রাম গোপাল বন্দোপাধ্যায়কে চোখ মেরেছেন অভিনেত্রী।

এই প্রসঙ্গে অস্মিতা বলেন, “অনেকদিন অপেক্ষায় ছিলাম, জানতাম নাতো কার সঙ্গে বিয়ে হবে, যখন জানলাম ওর (হবু বরের দিকে আঙুল দেখিয়ে) সঙ্গে হচ্ছে তখন খুব খুশি”।

আরও পড়ুন : গুড্ডি২ বলে পরিচিত ঝনকের ডাবিং আনছে জলসা! কোনো কিছু না জানিয়ে জলসা হঠাৎ ঝনক সিরিয়ালের ডাবিং আনতে গেল কেন?

প্রসঙ্গত, কলেজে পড়াশোনা করার সময় কমন ফ্রেন্ডের সূত্র ধরে অস্মিতা ও রামগোপালের আলাপ হয়। বন্ধুত্ব থেকে শুরু হয় প্রেম। রামগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানান, “আমি অবশ্য জানতাম। ওকে বহু আগেই বলেছিলাম ঘুরেফিরে সেই আমার কাছেই আসবি।”

অস্মিতা বরের কথায় সায় দিয়ে বলেন, “ও আমাকে ১০-১২ বছর আগেই বলেছিল, দুনিয়া দেখে নে, সেই তোকে আমার বাড়িতেই আসতে হবে। আমার কাছেই আসতে হবে। আমিও তখন মজা করে বলতাম, আরে ঠিকআছে…দেখে নেব।”

Related Articles