বাংলা সিরিয়াল

মৌয়ের সাথে বড় পিসেমশাই এর অভদ্র আচরণে যোগ্য জবাব দিল বিথী! এবার কী তবে ধীরে ধীরে মৌয়ের মা হয়ে উঠবে বিথী? ‘মেয়েবেলা’র নতুন এপিসোড নিয়ে উচ্ছ্বসিত দর্শক

মাত্র কয়েকদিন আগেই স্টার জলসার পর্দায় শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক ‘মেয়েবেলা’। এই অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই দর্শক মহলে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে এই ধারাবাহিকটি। একেবারে আনকোরা একটি গল্প নিয়ে এসেছে এই ধারাবাহিক। এর ট্যাগলাইন ‘মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু’। দীর্ঘদিনের প্রচলিত ধ্যান-ধারণাকে কেন্দ্র করে সম্পূর্ণ নারী কেন্দ্রিকভাবে তৈরি করা হয়েছে এই ধারাবাহিককে।

ধারাবাহিককে প্রথম থেকে দেখানো হয়েছিল নায়ক নায়িকা একই বাড়িতে থাকলেও তাদের মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই। বরঞ্চ নায়কের দীর্ঘ ১২ বছরের একটি সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়াও নায়িকা মৌয়ের জীবনেও রয়েছে একটি অতীত। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে পড়ে ডোডো আর মৌকে বিয়ে করতে হয়। এবার এখান থেকেই ধীরে ধীরে তারা একে অপরের জীবন সঙ্গী হয়ে উঠবে। আর সম্পূর্ণ বাড়ির মেয়েদের একটি করে নিজস্ব সত্তা তৈরি হবে।

তবে এবার গল্পের ধারাবাহিকতার মধ্যেই দেখানো হয়েছে মৌয়ের একমাত্র ননদ অর্থাৎ টিকলিকে ছোটবেলায় মলেস্ট করেছিল তার বড় পিসেমশাই। সেই সময় ছোট্ট টিকলিকে পিসেমশাইয়ের হাত থেকে উদ্ধার করে এনেছিল গল্পের নায়ক ডোডো তবে সেও তখন অনেক ছোট। এরপরে তুই ছোট্ট ভাই বোনের কথার উপর ভিত্তি করে সেই পিসেমশাইকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বাড়ি থেকে। আর তারপর থেকেই সম্পূর্ণ বিষয়টিকে নিয়ে টিকলি একটি মেন্টাল ট্রমার মধ্যে রয়েছে। এখনো সেই মানসিক অসুস্থতার মধ্যে থাকলেও বাড়ির ঠাকুমা কোনমতেই তার মেয়ে আর মানসিকভাবে অসুস্থ জামাইয়ের এই দোষ দেখতে পান না।

গল্পের মধ্যেই আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে বড় পিসি আর এই মানসিকভাবে অসুস্থ পিসেমশাইকে। তাদের মধ্যে কোন লজ্জা বোধ তো নেই উল্টে, ঠাকুমাও খুব সহজেই নিজের মেয়ে জামাইকে আপন করে নিচ্ছে। বাড়ির সকলের মধ্যে এবার এই বড় পিসেমশাইয়ের নজর পড়েছে মৌয়ের উপর। সম্প্রতি ধারাবাহিকের একটি প্রোমো প্রকাশিত হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে মৌকে অশালীন ইঙ্গিত পূর্ণভাবে স্পর্শ করে পিসেমশাই। তবে এই সময় বিথী মৌয়ের ঢাল হয়ে দাঁড়ায়। সে সজোরে বড় পিসেমশাইয়ের গালে চড় কষিয়ে দেয়।

কিন্তু এই দৃশ্য দেখে একেবারে আনন্দে আপ্লুত হয়ে গিয়েছেন মেয়েবেলার অনুরাগীরা। বিথী যতই মুখে নিজের ছেলের বউ হিসেবে মানতে অস্বীকার করুক কিংবা তাকে অপছন্দ করুক, সে নিজের দায়িত্ব পালন করেছে। একজন মা হিসেবে তার যা কর্তব্য ছিল সে সেটা করেছে। আর সেসব না ধরলেও একজন মেয়ে হিসেবে যেভাবে আর একটি মেয়ের পিছনে তা দাঁড়ানোর কথা সেই ভাবেই সে দাঁড়িয়েছে। উচ্ছ্বসিত দর্শকের মনে এবার প্রশ্ন এসেছে তাহলে কি বিথী আর মৌ এর হাত ধরেই সঠিক শিক্ষা ভাবে পিসেমশাই? মৌয়ের দিকে নজর দিয়ে সে কী বিথীকে উত্তপ্ত করল? এবার কী তবে বিথী আর মৌ দুজনে মিলেই শায়েস্তা করবে তাকে?

Related Articles