বাংলা সিরিয়াল

হঠাৎ করেই গুড্ডি আর অনুজের ব্লাড গ্রুপ এক হয়ে গেল? এদিকে এক যুগ আগে মিঠির বাবাকে রক্ত দেওয়ার বেলায় তখন অনুজ আর ব্লাড গ্রুপ আলাদা ছিল? গুড্ডির গল্পের এত খারাপ অবস্থা দেখে বিরক্ত দর্শক

বাংলা ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা একমাত্র বোঝা যায় টিআরপির হাত ধরে। আর সেই টিআরপি টানতেই এমন সব গল্প দেখানো হয় যা দেখে দর্শক বলেন গল্পের গরু গাছে উঠছে। আর সেই গাঁজাখুড়ি গল্প দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে যান দর্শক। ঠিক এমনটাই হচ্ছে স্টার জলসার সর্বাধিক সমালোচিত ধারাবাহিক গুড্ডির সাথে। বহুবার সমালোচিত হয়েছে এই ধারাবাহিক। তেমনি আরো একবার উঠে এসেছে নতুন একটা টপিক সমালোচনার জন্য।

আসলে ধারাবাহিকের একদম প্রথম দিকে দেখানো হয়েছিল গুড্ডি’র যা মিঠির বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু সেই সময় বাড়ির কারোর সাথেই এমনকি অনুজের সাথে ও তার ব্লাড গ্রুপ ম্যাচ করে না। আর সেই কারণেই রক্ত দিতে হয় গুড্ডিকে কারণ গুড্ডি সাথে তার ব্লাড গ্রুপ ম্যাচ করে। কিন্তু এখন গুড্ডিতে দেখানো হচ্ছে যে গুড্ডি অসুস্থ আর তাকে ব্লাড দিতে লাগবে। তখন অনুজ তাকে রক্ত দিয়ে বাঁচায়। এখানেই দর্শকেরা বলছেন এটা কি ভেলকিবাজি নাকি। গুড্ডি আর অনুজের ব্লাড গ্রুপ এক হয়ে গেল কি করে?

ধারাবাহিকদের যারা নতুন দর্শক তারা হয়তো বুঝবেন না। কিন্তু ধারাবাহিকের যারা পুরনো দর্শক আশা করি তারা বুঝতে পারবেন যে এখানে কোন ঘটনার কথা হচ্ছে। আর ধারাবাহিকের গল্প নিয়ে যে কি খেলা চলছে সেটাও চোখে পড়বে। ফলে ধারাবাহিকের গল্পটিকে যেভাবে ঘেঁটে ঘ করা হচ্ছে তা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন দর্শক। সোশ্যাল মিডিয়াতে হামেশাই দেখা যাচ্ছে গল্প নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য।

একজন যেমন লিখেছেন, ‘মনে পড়ে যখন মিঠির বাবাকে রক্ত দিয়ে ছিল গুড্ডি
তখন কি গুড্ডি অনুজের Blood Group আলাদা ছিল??? অনুজ উপস্থিত থেকেও রক্ত দেয় নি, এমনকি একবারের জন্য নিজের Blood Group এর কথা উল্লেখ করেনি, এমনি লাগছিল যে অনুজের Blood Group আলাদা ছিল আর এখন গুড্ডি অনুজের Blood Group মিলে গেল
অনুজ গুড্ডিকে বাঁচানোর জন্য Blood Group মিলে গেল ???’

তার আরো সংযোজন, ‘বিগত 10 বছরে স্টার জলসায় লীনা ম্যামের বেশিরভাগ ধারাবাহিক আমি দেখেছি, fan বলতে পারেন (যদিও রাগ হলে আমিও পিসি বলেই ডাকি) কিন্তু সত্যি বলতে সব থেকে ঘেটে ঘ করা ধারাবাহিক ওনার “গুড্ডি”
এতো ভুল গল্পের মোড় নিয়ে নিয়ে এতো ভুল ত্রুটি করে করে গল্পটাকে শেষ করে দিলো
তবুও দেখে যাবো, এর শেষ দেখে ছাড়বো’।

Related Articles