বাংলা সিরিয়াল

“কিছু পেতে গেলে কিছু তো খোয়াতে হবে” মিঠাই ভক্তরাও তাঁদের পুরোনো মিঠাইকে ফিরে পেলেও হারাতে হল আর এক প্রিয় চরিত্র মিঠিকে, মনোহরা ছেড়ে চলে যায় মিঠি

মিঠাইয়ের মৃত্যু হয়, কারখানায় আগুন লেগে সে মারা গেছিল। তবে ভক্তদের প্রথম থেকেই সন্দেহ হয়েছিল যে মিঠাই আদৌ মারা গেছে কিনা। এরপর টাইম স্কিপের পর গল্পে আসে মিঠির চরিত্র, যাকে দেখতে হুবহু মিঠাইয়ের (অর্থাৎ সৌমিতৃষার দ্বৈত চরিত্র) মতোন দেখতে। শাক্য বড় হতে হতে পরিণত হচ্ছিল খুব দুরন্ত এক বাচ্চায়। তাই তার‌ জন্য টিউটরের খোঁজ চালায় মোদক বাড়ি।

তখনই গল্পে আসে মিঠি, সিদ্ধার্থ দেখে প্রথমে চমকেও উঠেছিল। দর্শকদের অনুমান ছিল তখন মিঠি-ই তাদের মিঠাই, সে সব কিছু ভুলে গিয়ে এখন মিঠির জীবন পেয়েছে। কিন্তু পরে মিঠাইকে ফিরিয়ে আনার দাবিতে লেখিকা গল্পের ধারার পরিবর্তন ঘটায়।

গল্পে দেখানো হয় মিঠাই বেঁচে আছে, তখন বোঝা যায় মিঠাই আর মিঠি দুজন আলাদা চরিত্র। এদিকে সিদ্ধার্থ মিঠাইয়ের জন্য পাগলের মতো ব্যবহার করলে বাড়ির লোকের কথায় বিয়ে করে মিঠিকে। ওদিকে মিঠিও সিদ্ধার্থের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু মিঠাই যেহেতু ফিরে এসেছে তাই সিড আর মিঠাইয়ের মিল অবশ্যই দেখানো হবে। তবে মিঠির কি হবে?

তখনই গল্পে এল রোহিত, মিঠাইয়ের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার‌ দাদা, যার সাথে মিঠির দুষ্টু মিষ্টি ঝামেলাও দেখানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। ভক্তরা ভাবছিলেন মিঠাই আর সিডের মিল একদিকে, আর মিঠি আর রোহিতের মিল আরেকদিকে। কিন্তু একি মিঠি তো বেরিয়ে পড়ে ঘুরতে তার ক্যামেরা সাথে করে। গত কয়েকটি এপিসোডে দেখানোও হয়নি তাকে‌। মিঠাই আর সিডকে কাছাকাছি আনার জন্যই কি মিঠির এই এত বড় আত্মবলিদান?

দর্শকরা মিঠিকেও ভালোবেসে ছিলেন যেভাবে মিঠাইকে বেসেছেন। আসলে মানুষটা তো একই, সৌমিতৃষা কুন্ডু। এই ধারাবাহিকে কাজ করে অভিনেত্রী অনেক প্রশংসা এবং জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এপ্রিলে মিঠাই শেষ হওয়ার কথা শোনার পরই ভক্তরা চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে জানায় যেন সৌমিতৃষাকে আবার খুব শীঘ্রই ফিরিয়ে আনা হয় টিভির পর্দায়।

Related Articles