বাংলা সিরিয়াল

সকলের চোখে খারাপ হয়েও পুতুলের কথা ভাবলো শিমুল! বৌমার ওপর নির্দয় মধুবালা

প্রত্যেকদিন দুর্দান্ত এপিসোড দেখিয়ে মানুষের মন জয় করে নিয়েছে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক “কার কাছে করি মনের কথা”। প্রথম দিকে টিআরপি তালিকায় খুব একটা ভালো ফল করতে না পারলেও, এখন এই ধারাবাহিক টেক্কা দিচ্ছে আচ্ছা আচ্ছা সিরিয়ালকে। শিমুলের স্পষ্টবাদী মনোভাব আজকালকার গৃহবধূদের কাছে অনুপ্রেরণার মত। আর এই ধারাবাহিকের মূল ইউএসপি হলো, শাশুড়ি বৌমার সুন্দর সম্পর্ক। তবে সেই সম্পর্ক এবার তলানিতে।

শিমুলকে সারা জীবনের জন্য বিদায় করতে, বিজয়া দশমীর দিনে সিদ্ধিতে বিষ মিশিয়ে তাকে খাইয়ে দিয়েছিল স্বামী পরাগ, দেওর পলাশ আর পলাশের বান্ধবী প্রতীক্ষা। এরপর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে শিমুল। শিমুলের বান্ধবীরা দোষীদের শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করলেও, সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায় শিমুল। স্বামী দেওরের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ তুলে নিয়ে, এবার এক মোক্ষম চাল চেলেছে সে।

পরাগ এবং পলাশকে বাঁচানোর পাঁচ লক্ষ টাকা স্বামীর কাছ থেকে দাবি করে শিমুল। শুধু তাই নয়, মাস গেলে পরাগ যা মাইনে পায়, তার অর্ধেকটাও প্রত্যেক মাসেই দাবি করে সে।

শাশুড়ি মা, প্রতিবেশী বন্ধুরা এমনকি তার বাপের বাড়ির লোকজন শিমুলের এই কান্ড দেখে তাকে ভুল বুঝতে শুরু করে। মধুবালা দেবী বৌমার বিপক্ষে যায়। এত টাকা নিয়ে শিমুল কি করবে সেটা কাউকে না জানানোয় অবশ্য এই ভুল বোঝাবুঝি।

পরের এপিসোডে দেখা যায়, এদিন পুতুলকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাংকে যাচ্ছে শিমুল। পুতুলকে সে বলে, “এই টাকা গুলো তোমার জন্য। তোমার চিকিৎসার জন্য এই টাকা গুলো খরচ হবে।

ভবিষ্যতে তোমারও বিয়ে হবে, তারও খরচ এখান থেকেই হবে।” সে পুতুলকে বারণ করে দেয় যাতে বাড়িতে কাউকে এই সমস্ত কথা না বলে। শিমুল আর পুতুল বাড়ি গিয়ে দেখে পাড়ার বউদের বাড়িতে ডেকে এনেছে তার শাশুড়ি।

সুচরিতা বিপাশাদের দেখে শিমুল তাদের পাড়ার মাতব্বর বলে। পাড়ার বান্ধবীদের সঙ্গে শিমুলের কথা কাটাকাটি হয়। এমনকি শাশুড়িও শিমুলকে যা নয় তাই বলে অপমান করে।

এই সমস্ত কথা শুনতে না পেরে শেষ পর্যন্ত পুতুল বলে ফেলে, পাঁচ লাখ টাকা শিমুল তার নামে ব্যাংকে রেখেছে। এমনকি প্রত্যেক মাসে যে টাকাটা সে পরাগের থেকে নেবে সেটা পুতুলের চিকিৎসার জন্যই খরচ হবে বলে জানায়। এই শুনে অবাক হয়ে যান সকলে।

আরও পড়ুন : “পাগলপ্রেমী”তে আদৃতের মনের মানুষ এই নায়িকা! জানুন সম্পূর্ন পরিচয়

Related Articles