স্টার জলসায় গত মাসেই এক নতুন ধারাবাহিক শুরু হয়েছে। ধারাবাহিকের নাম ‘তোমাদের রাণী’। প্রথম প্রোমো সামনে আসতেই দারুন চর্চা চলছিল এই মেগা সিরিয়াল নিয়ে। নিউ এজ রোম্যান্স নিয়েও অনেকেই বিরোধীরা করেছিলেন। বিয়ের আগেই অন্তরঙ্গ হয়ে পড়ে দুর্জয়-রাণী।
এটা অনেকেরই বেশ খারাপ লেগেছিল। নেশার ঘোরেই রানীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে সিরিয়ালের নায়ক দুর্জয়। সেই দেখেই দর্শকদের একাংশ ক্ষুব্ধ হয়েছিল।
দুর্জয়-রাণীর ঘনিষ্ঠতার কথা জানাজানি হতেই রানীর বাড়ি থেকে তার জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু রানী বিয়ে না করে কলকাতায় পালিয়ে আসে নিজের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য। কলকাতায় এসে সবকিছু অচেনা হওয়ার কারণে, দুর্জয়ের কাছে সাহায্য চাইলে দুর্জয় ব্যস্ত থাকার কারণে তাকে সাহায্য না করে অপমান করে।
এরপর ভীষণ রেগে যায় রানী।
দুর্জয়ের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয় রানী। এরপর তাদের সেই ঘনিষ্ঠতার কথা সকলের সামনে স্বীকার করে। এমনকি দুর্জয় যে তার সঙ্গে কতটা খারাপ ব্যবহার করেছে, সে কথাও স্বীকার করে সে।
দুর্জয় বাড়ি ফিরে সমস্ত ঘটনা শোনার পর, নিজের কাঁধে সমস্ত দায় তুলে নেয়।তবে এখানেই শেষ হয়ে যায় না সবটা। ঠাকুর ঘর থেকে সিঁদুর এনে রানীর সিঁথিতে পরিয়ে দেয়।
এখন অবশ্য রানী আর দুর্জয়ের মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দিয়েছে দুর্জয়ের বাড়ির লোকজন। তবে এখানে দুর্জয় চরিত্রটি সকলের কাছে বেশ পছন্দের হয়েছে। বেশিরভাগ ধারাবাহিকে দেখা যায়, উন্মত্ত অবস্থায় মদ খেয়ে নায়ক কোন কাজ করার পর, তারা সেটা ভুলে যায়। তার খেসারত দিতে হতো নায়িকাদের। অবিশ্বাস, অপমান কিনা পেতে হতো।
সেক্ষেত্রে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে গেলেও নিজের দায় কখনোই এড়িয়ে যায়নি দুর্জয়। রানীকে সে একবারের জন্য অস্বীকার করেনি।
আরও পড়ুন : বধূবরণ করতে বাধা দিল মেঘ! মেঘ আর নীলের ডিভোর্স এবার চূড়ান্ত, ফাঁস ইচ্ছে পুতুলের পর্ব
