“কার কাছে কই মনের কথা” ধারাবাহিক থেকে এখন চোখ সরানো দায়। একের পর এক ধামাকা তারপর পর্ব, এই ধারাবাহিককে দারুন জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। এমনকি এই সপ্তাহে টিআরপি তালিকাতেও দারুন ফল করেছে এই ধারাবাহিক। শিমুল আর পরাগের সংসার হয়েও যেন তার সুস্থ স্বাভাবিক নয়।
শিমুলের শাশুড়িকে আগে পথের কাঁটা বলে মনে হলেও, এখন তিনি অবশ্য শাশুড়ি থেকে মায়ের জায়গা নিয়েছেন শিমুলের কাছে।
শিমুলের খোলামেলা স্বভাবের মনোভাব একেবারেই পছন্দ নয় পরাগ আর তার ভাই পলাশের। সেই কারণেই দুজনে মিলে একের পর এক চক্রান্ত করে যাচ্ছে, যাতে শিমুলকে বাড়ি থেকে তাড়ানো যায়।
আর তাদের সঙ্গে সঙ্গ দিয়েছে পলাশের হবু বউ প্রতীক্ষা। কিন্তু শিমুলকে বাড়ি থেকে তাড়ানো একেবারেই সম্ভব হয়নি তাদের। কারণ শিমুলের শাশুড়ি তার পাশে আছে।
আরও পড়ুন : “মাতাল হলেও তালে ঠিক দুর্জয়!” রানীর সাথে ঘনিষ্ঠতার কথা ভোলেনি সে
পাড়ার দুর্গাপুজোয় শাশুড়ি মধুবালাকে সঙ্গে নিয়ে পাড়ার আর পাঁচটা মেয়ে বউদের সঙ্গে শিমুলকে আনন্দ করতে দেখে একেবারেই সহ্য করতে পারছে না পলাশ আর পরাগ। বিজয়া দশমীর রাতে চরম সিদ্ধান্ত নেয় দুজনে। সিদ্ধির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে শিমুলকে খাইয়ে দেয় তারা।
সাম্প্রতিক পর্বে দেখানো হয়েছে, ঠাকুর বিসর্জনের পর মন্ডপে ফিরে সকলের হাতে সিদ্ধির গ্লাস তুলে দেয় পরাগ।
পরাগের হাত থেকে শিমুল যেহেতু গ্লাস নেয়নি, সেই জন্য প্রতীক্ষার হাত দিয়ে বিষ মেশানো সিদ্ধির গ্লাস পাঠায় পরাগ। সিদ্ধি খেয়ে জ্ঞান হারায় শিমুল। সকলে মিলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পর পরাগ, পলাশ, প্রতীক্ষা গিয়ে ভালো মানুষীর নায়ক শুরু করে। আজকের পর্বে দেখানো হবে যে, নার্স এসে বলছেন শিমুলের খাবারে কেউ বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন : কিসের সিড!কিসের ঋষি! বুড়ো বয়সেও কলির কেষ্ট আমাদের দাদু ঋদ্ধি!ছয় ছয়টা মেয়ে পাগল ঋদ্ধির জন্য
আবার নতুন করে নাটক শুরু করে তিন গুণধর। পাড়ার বউরা মিলে ঠিক করে যে, শিমুলের জ্ঞান ফিরলেই সকলে মিলে পুলিশের কাছে যাবে। এই শুনে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে অপরাধীরা। এবার পরাগ আর পলাশের চক্রান্ত ধরা পড়ে যাবে?
