‘সব দায় কি একা মেঘের?’গিনিকে হাত মুখ বেঁধে স্টোর রুমে ফেলে রেখেছে রূপ রূপের মা! সব দায় মেঘের একা নয় ফুঁসে উঠছেন দর্শক!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ইচ্ছে পুতুল’। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, মেঘের ননদ গিনি যখন বড়লোকের লম্পট ছেলে রূপের প্রেমে পড়ে তখন সবার আগে এই সম্পর্কের বিরোধিতা করেছিল মেঘ। কারণ সে চায় না গিনির জীবনটা নষ্ট হয়ে যাক, সেই সময় কেউ মেঘের কথা বিশ্বাস করেনি এমনকি সৌরনীল পর্যন্ত না, সবাই মেঘের দিদি ময়ূরীর কথা বিশ্বাস করেছিলো, যে ময়ূরী শুধুমাত্র মেঘকে নীলের জীবন থেকে আলাদা করবার জন্যই রূপের সাথে হাত মেলায় ও মেঘের সাথে রূপের সম্পর্ক আছে প্রমাণিত করে মেঘকে বাড়িছাড়া করে। মেঘ বারংবার সত্যিটা সবার সামনে বলার চেষ্টা করেও সত্যিটাকে প্রমাণ করতে পারে নি। গিনির সাথে রূপের বিয়ে হওয়ার পর গল্প বদলে যায়।
রূপকে বিয়ে করে গিনি বুঝতে পারে সে কত বড় ভুল করেছে। বিয়ের পর থেকেই রূপের কাছ থেকে নির্যাতিত হতে থাকে সে, একরকম বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার হয় সেই প্রথম রাত্রেই, এরপর রূপের মুখোশ সবার সামনে টেনে খুলে দিতে চাইলে রূপ তাকে ব্ল্যাকমেইল করে যে তার স্নান করার ছবি সে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেবে।
অন্যদিকে নিজে ভালোবেসে বিয়ে করেছে বলে গিনি নিজেও চুপ থাকে। কিন্তু রাস্তাঘাটে মেঘের সাথে গিনির দেখা হলে গিনির গায়ে হাতে পায়ে দাগ মেঘের নজর এড়ায় না।
সম্প্রতি এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে গিনি সকলের সামনে রূপের পর্দা ফাঁস করতে চাইছে তখন গিনির মুখ বেঁধে তাকে স্টোর রুমে ফেলে রাখে রূপ ও রূপের মা। গিনি ঘরের মধ্যে কাঁদতে থাকে বন্ধ অবস্থায়, অন্যদিকে গিনিকে নিয়ে একটা দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙ্গে গিনির জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে মেঘ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন এই ভিডিও পোস্ট করে লিখেন,“ মেঘ কি পারবে তাকে উদ্ধার করতে? গিনির জন্য আজ আসলেই কষ্ট হচ্ছিল।”
অন্যদিকে এই পোষ্টের কমেন্ট বক্সে একজন লেখেন,“সব দায় কি মেঘের?”
