স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘জল থৈথৈ ভালোবাসা’। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে, কোজাগরী একজন মধ্যবয়স্ক মহিলা, কিন্তু সে বয়সকে তুড়ি মেরে গুছিয়ে বাঁচতে জানে। তার বেঁচে থাকার ধরণটাও আবার অন্যরকম, সে একা একা বাঁচতে চায় না, সে একা একা বাঁচতে পারে না।
সকলকে নিয়ে সবার সাথে হই হই করে, সকলের সাথে গল্প গুজব করে , মজা করে সে জীবনটা বাঁচতে জানে। কিন্তু তার এই ভাবনা-চিন্তার সাথে তার পরিবারের অন্যান্য মানুষদের মানসিকতা মেলে না। এই স্বার্থপর যুগে সবাই যেখানে নিজেরটুকু গুছিয়ে থাকতে চায়,সেখানে কোজাগরীর এই সকলকে নিয়ে থাকার বিষয়টাকে সকলেই মানতে পারে না, তাই মনোমালিন্য হয় তাই বিরোধ সৃষ্টি হয় তাই আত্মসম্মানী কোজাগরি বাড়ি ছাড়ে আবার একটা সময় পরে দেখা যায় যে, কোজাগরী বাড়ি ফিরে আসছে পরিবারের সবার অনুরোধে।
কিন্তু এইবার সে একটা শর্ত দিয়েছে, তার সেই শর্ত মানা হলে তবেই সে থাকবে। সে ঠিক করেছে সে একটা খাবারের হোটেল খুলবে, আর সেই হোটেলের সমস্ত দায়িত্ব দেবে আসমানকে। এরপর কোজাগরীর হেঁসেল নামে একটি দোকান খুলে কোজাগরী এবং সেখানে আসমানকে সব দায়িত্বটা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : সত্যিই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন আদৃত-কৌশাম্বি?
অন্যদিকে কোজাগরীর সেই হোটেলে তোতা এলে আসমানের সাথে তোতার আবার খুনসুটি শুরু হয়, আসমান বলে তাকে যেন একা কাজ করতে দেওয়া হয়, তোতা যেন সেখান থেকে চলে যায় আর তোতা আসমানকে বলে আসমান খুব হিংসুটে, এই ভাবেই এগিয়ে চলছে জল থৈ থৈ ভালোবাসার গল্প। কোজাগরী বাড়িতে আসায় সবাই খুব খুশি, এই ধারাবাহিক দেখতে দেখতে সবাই জল থৈ থৈ ভালোবাসার মধ্যে শ্রীময়ীর ছোঁয়া পাচ্ছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“জল থৈ থৈ ভালোবাসা এখন দুর্দান্ত হচ্ছে
সেই পুরোনো ম্যাজিক মোমেন্ট এর শ্রীময়ী টাইপ ফ্যামিলি ড্রামা হচ্ছে।
তবে এখানে কেউ ভিলেন নয়,প্রত্যেককে তাদের চরিত্র অনুযায়ী সঙ্গতিপূর্ণ সংলাপ দিচ্ছে ,একটাই অনুরোধ কোজাগরী র বাড়ি ছেড়ে চলে যাবার ট্র্যাক যেন না আনে কখনো,পারলে কোজাগরীকে দিয়ে বাড়ির মধ্যেই কোমরে কাপড় বেঁধে,হাতে ঝাঁটা নিয়ে ঝগড়া করাক
তবে এই পরিস্থিতিতে মিঠিকে খুব দরকার ছিল তাহলে জমে ক্ষীর হয়ে যেত,সম্ভবত ওকে সেরকম ভাবে আর দেখাবেনা কোন গোপনে মন ভেসেছের জন্য
সবাই দেখতে থাকুন জল থৈ থৈ ভালোবাসা ,প্রতিদিন রাত ৯টায়
যতদিন না নতুন প্রতিপক্ষ আসছে আর প্রোমো আসার সম্ভাবনা নেই ”
