বাংলা সিরিয়াল

মেয়ের বাপের বাড়ি এসে অপমানিত হতেন মধুবালার বাবা! দুঃখের অতীত জানালো শিমুলের শাশুড়ি

দিনের পর দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে “কার কাছে কই মনের কথা” ধারাবাহিকটি। প্রতিদিন জি বাংলার পর্দায় সন্ধ্যে সাড়ে ছটা থেকে এই ধারাবাহিক সম্প্রচারিত হয়। মধ্যবিত্ত পরিবারের শিমুল মফস্বলে বিয়ে করে আসার পর তাকে নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে শ্বশুরবাড়িতে।

একসময় শাশুড়ির অত্যাচার আর স্বামীর অত্যাচার একসাথে সইতে হয়েছে। অবশ্য প্রতিবাদ করেছে শিমুল। বর্তমানে শাশুড়ি শুধরে গেলেও, স্বামী পরাগ আর তার দেওর পলাশ কিন্তু সেই একই আছে l।

আরও পড়ুন : রাগের মাথায় রানীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিল দুর্জয়! কোন দিকে মোড় নেবে দুজনের জীবন?

ধারাবাহিকে শিমুলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মানালি দে এবং নায়ক পরাগের চরিত্রে অভিনয় করছেন দ্রোণ মুখোপাধ্যায়। শ্বশুরবাড়িতে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের শিকার হওয়া ছাড়াও, বাড়ির কন্যা সদস্যের প্রতি বাড়ির লোকজনদের অবহেলার আচরণ উঠে এসেছে এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে।

শ্বশুরবাড়িতে এসে প্রথমেই শিমুল খুব ভালো করে বুঝে গিয়েছিল, তার বাপের বাড়ি সদস্যদের খুব একটা সম্মান দেয় না তারা।

বর্তমানে শিমুলের শাশুড়ি মধুবালা বৌমার কন্যাশুলভ ব্যবহারের কারণে শাশুড়ি থেকে মা হয়ে উঠেছেন। তাই বৌমার বাপের বাড়ির সকলের জন্য পুজোর আগে জামা কাপড় কিনে এনেছেন তিনি।

এটা দেখে খুব আনন্দ পায় শিমুল। মধুবালা এরপর শিমুলকে বলে, এখন তার বাবা মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে আসতো সেই সময় তাকেও অনেক অপমান সহ্য করতে হতো। সারাদিন খাটাখাটনি করেও বাবার কাছে মেয়ের নামে সুনাম করতো না শ্বশুর বাড়ির লোকজন।

মধুবালার বাবা যখন মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে আসতেন তখন দূর ছাই ব্যবহার করা হতো। তাই বাপের বাড়ির সঙ্গে আর কোন সম্পর্ক নেই মধুবালার। শিমুলের প্রতি এবং মধুবালার প্রতি পরাগ আর পলাশের জঘন্য ব্যবহার দেখে মধুবালা বলে, একসময় তাদের বাবাও এমনই ছিল। তাই পরাগ আর পলাশের জন্য তাদের স্বর্গীয় বাবাকেই অনেকেই দুষছেন।

আরও পড়ুন : ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রুবেল শ্যুট করতে পারবেন না! তাই পর্ণার জীবনে আসছে নতুন নায়ক!

Related Articles