বাংলা সিরিয়াল

‘ডোডো বা মৌ নয়, ভুল শুধরে সবার চোখে হিরো ডোডোর বাবা!’-মেয়েবেলা আসলে দুটো প্রজন্মের গল্প! ধারাবাহিকের কাহিনী শুনে প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক!

মেয়েবেলা ধারাবাহিকটি শুধু মৌ ডোডো আর বীথির গল্প না, এটা একটা প্রজন্মের গল্প একটা প্রজন্মের ভুল করে শিক্ষা নেওয়ার গল্প এবং পরের প্রজন্মকে ভুল শুধরে দেওয়ার গল্প। ঠিক যেমন মেয়ে বেলাতে বিথীর বর চিরটাকাল বীথির কষ্ট না বুঝে বীথির কথা না শুনে বাধ্য ছেলের মতো মায়ের কথা শুনে গেছে, যে কারণে বীথি মানসিক কষ্ট যন্ত্রণা পেতে পেতে আজ মানসিক জটিলতা পূর্ণ একটি মানুষে পরিণত হয়েছে আর সে নিজে যে জিনিসগুলো পাইনি সেই জিনিসগুলো ছেলের বউকে পেতে দেখে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে উঠেছে। তাই ডোডোর বাবা দিনশেষে এসে রিয়েলাইজ করেছেন যে ভুলটা তার, তাই তিনি ডোডোকে সুপরামর্শ দেন তিনি যে ভুল করেছেন সেই ভুল যেন তার ছেলে না করে, তার ছেলে যেন মায়ের কথা শুনে বউকে কষ্ট না দেয়, তাহলে ডোডোর বৌমা ও এক‌ই কষ্ট পাবে মৌ এর থেকে যেমনটা বীথির দ্বারা মৌ পাচ্ছে। এই যে একটা প্রজন্মের সাথে আর একটা প্রজন্মের কানেকশনের গল্প ভুল করা এবং ভুল শুধরে নিয়ে নতুন করে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার গল্প, সেই গল্প দেখেই দর্শক ফিদা হয়ে যাচ্ছেন আর মেয়েবেলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠছেন। তাই দিনশেষে ডোডো বা মৌ নয় হিরো হয়ে উঠেছেন ডোডোর বাবা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“আজ ডোডোর বাবার কথাগুলো মন ছুঁয়ে গেলো। উনি অনুতপ্ত!! ছেলের সামনে নিজের দোষ স্বীকার করছেন উনি!! উনি চান না বীথি যেমন ওনাকে পাশে না পেয়ে রুক্ষ হয়ে গেছে, মৌও তেমনভাবে ডোডো কে পাশে না পেয়ে রুক্ষ হয়ে যাক। উনি চান না যেমনভাবে ওনার দোষের জন্য মৌকে কষ্ট পেতে হচ্ছে, তেমনভাবে ডোডোর দোষে ডোডোর বৌমা কে
কষ্ট পেতে হোক।
একটা কথা উনি ঠিক বলেছেন….উনি ওনার মনের কথা না শুনে মায়ের আজ্ঞা পালন করতে গিয়ে বীথি কে হাজারো কষ্ট দিয়ে ফেলেছেন। ডোডো মায়ের সব কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে সেই একই ভুল করুক… উনি চান না।
শেষে ডোডোর ওনার সাথে যেভাবে কথা বললো, সেটা সত্যিই খারাপ লাগলো, but শান্তি একটাই সঙ্গে সঙ্গে ডোডো regret ও করলো
সত্যি!!!শুধু ভালোবাসলেই হয় না, আদর্শ বাবা হতে গেলে এরকম করে বোঝাতেও লাগে”

Related Articles