বাংলা সিরিয়াল

‘বিথী এত স্বার্থপর যে এত কিছুর পরেও ছেলেকে বলছে মৌকে ডিভোর্স দিতে! বীথির জন্যই চাঁদনী আর টিকলির এই অবস্থা তার জন্য এতোটুকু আক্ষেপ নেই!’টিআরপি টানতে টানটান এপিসোড মেয়ে বেলায় বলছেন দর্শক!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মেয়েবেলাতে দেখা যাচ্ছে যে টিকলির বড় পিসেমশাই দোলের দিন টিকলির সাথে অসভ্যতামো করে, যখন টিকলির বয়স ছিল মাত্র ৭ বছর এই ঘটনা টিকলির মনে দাগ কেটে যায় এবং আজও সেই ঘটনার ট্রমা থেকে টিকলি পেরিয়ে আসতে পারে নি। এর পর মৌ এর সাহায্যে টিকলি আস্তে আস্তে রংয়ের প্রতি দুর্বলতা কাটিয়ে দোল খেলায় শামিল হয়। কিন্তু বীথি মৌ এর এই সাফল্য মেনে নিতে না পেরে চাঁদনীকে বলে ভালো ডাক্তার ডাকতে চাঁদনী না জেনেই সেই মনোরোগ বিশেষজ্ঞ কে ডাকে যে আসলে টিকলির বড় পিসেমশাই! তাকে এতদিন পরে দেখে আবার টিকলির প্যানিক অ্যাটক হয়!

অন্যদিকে টিকলির বড় পিসেমশাই তার বিরুদ্ধে আসা এই অভিযোগ মানতে নারাজ কিন্তু পরিবারের প্রত্যেকটা মানুষ তাকে অভিযোগে অভিযুক্ত করতে থাকে। এক সময় মৌ বলে যে সে বড় পিসেমশাইয়ের সমস্ত অপরাধ প্রমাণ করে দেবে এবং সে সামনে এখানে ওপেন চ্যালেঞ্জ নেয়, এই চ্যালেঞ্জ একসেপ্ট করে মিত্র বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় বড় পিসি আর বড় পিসেমশাই তার সাথে সাথে চাঁদনী যখন বেরিয়ে গিয়ে ক্ষমা চায় তখন চাঁদনীকে বড় পিসেমশাই বলেন যে চাঁদনী যদি ডোডো ও ডোডোর পরিবারের পাশে দাঁড়ায় তাহলে চাঁদনীর বিরুদ্ধে মেডিকেলে কমপ্লেন করবেন তিনি!

অন্যদিকে মৌ সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়িয়েছে, টিকলির হয়ে কথা বলেছে, সবাই ভেবেছিল এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই এবার বীথিকে সে পাশে পাবে কিন্তু না। বিথী সেই যে তিমিরে ছিল সে তিমিরেই রয়ে গেল। আগামী পর্বের প্রিক্যাপে দেখা যাচ্ছে বিথী ডোডোকে বলবে মৌ কে ডিভোর্স দিতে।

এই এপিসোড দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“বিথী মাসি কতটা স্বাথপর সেটা আজকের এপিসোড দেখে বুঝলাম!ডোডো কে বলে তুই চাঁদনী কে ভালোবাসিস? ডোডো বলে হাঁ। বলে তুই মৌ কে ডিভোর্স দে। মেয়ে টা কত কি করল মিএ পরিবার এর জন্য। ছিঃ ছিঃ ছিঃ বিথী মাসি”-আর একজন আবার এই কথার সাথে সহমত পোষণ করে লেখেন এই বীথির জন্য চাঁদনীর সমস্যা সৃষ্টি হলো কাজের ক্ষেত্রে, বীথির জন্যই টিকলির প্যানিক অ্যাটাক হলো! সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই এখন মৌ এর পিছনে পড়েছে!তবে নিঃসন্দেহে এই টানটান এপিসোড টি আর পি টানবে।

Related Articles