নীলুর জন্য সত্যি খারাপ লাগছে! নিজের বরকে এক্সের সাথে দেখলে আত্মসম্মানে লাগাটাই স্বাভাবিক!-নীলুর কষ্টের পক্ষেই সওয়াল করছেন দর্শক
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘মিঠিঝোড়া’। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, নীলু আর শৌর্য বিয়ের পর অষ্টমঙ্গলায় এসেছে, কিন্তু সেখানে এসেও শৌর্য বারবার রাইকেই মন দিয়ে দেখে যাচ্ছে আর রাইয়ের কথায় ভেবে যাচ্ছে, রাই সাথে তার পুরনো দিনের ঘটনা প্রেমের গল্প, রাইয়ের কাছে করা তার সমস্ত আবদারের কথা ভাবছে সে।
অন্যদিকে নীলু এবং শৌর্যের বিছানা গোছাতে গোছাতে রাইও কেমন একটা অন্যমনস্ক হয়ে যাচ্ছে! শৌর্য রাইকে বিছানা গোছাতে দেখলে সে আবার নীলুর সাথে মিথ্যে প্রেমের অভিনয় করে রাইকে ঘর থেকে বার করে দিচ্ছে।
অন্যদিকে সকালবেলায় শৌর্যের ঘুম ভাঙলে সে রাইয়ের কাছে যায়, সেখানে গিয়ে সে রাইয়ের থেকে জানতে চায় সে কেন রূপকথার গল্প পড়ছিলো? আসলে একটা সময় শৌর্যের আবদার ছিলো যে, প্রতিদিন রাত্রে বেলায় রাইকে তাকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে হবে গান গেয়ে এবং রূপকথার গল্প শুনিয়ে।
শৌর্য রাই যখন কথা বলছে তখন নীলু সেখানে এসে উপস্থিত হয় আর শৌর্যের সাথে কথাই না পারলেও সে গিয়ে ডাইরেক্ট নিজের দিদিকে অপমান করে। যে কেন সে তাদের দুজনের মান অভিমান এর মধ্যেখানে তাকে নিয়ে এলো? কেন সে নিজে হাতে তার জীবনটা শেষ করলো? এইখানে প্রচুর মানুষ কিন্তু নীলুকে সাপোর্ট করছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“আজকের এপিসোড টা দেখার পর,,,সত্যি নীলুর জন্য খুব খারাপ লাগছে,,,একটা মেয়ে যদি দেখে,,,তার হাসবেন্ড,,,তাকে ভালো না বেসে,,,তাকে সময় না দিয়ে,,,,নিজের এক্স এর সাথে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করছে,,,বার বার কথা বলছে,,,আর সেটা যদি নিজের বোন হয়ে থাকে,,,
তখন আত্মসম্মান এ লাগা টা-ই স্বাভাবিক,,,,এর থেকে অপমান এর আর কি হতে পারে? সে যতই ওদের মাঝে আগে থেকে সম্পর্ক না থাকুক,,,আগে থেকে একে অপরকে ভালো না বাসুক,,,বিয়ে টা তো মিথ্যা নয়,,,,সৌর্য এ-ই সম্পর্ক না মানলেও,,,নীলু কি করে,,,না মেনে থাকবে,,,,একটা মেয়ের কাছে,,,বিয়ে এবং হাসবেন্ড এর গুরুত্ব কতটা,,,,সেটা আমি মেয়ে না হলেও ঠিক ই বুঝতে পারছি,,,,আর মেয়েরা সব কিছুর ভাগ দিতে পারলেও,,,,
হাসবেন্ড এর ভাগ কখনো মেনে নিতে পারে না,,,তা-ই আমি মনে করি,,,নীলুর কোনো অপরাধ নেই,,,,এখন অনেকেই বলবে,,,নীলু কে জোর করে,,,বিয়ে দেওয়া হয় নি,,,আরে বাবা যেভাবেই বিয়ে দেয়া হোক,,,বিয়ে টা তো হয়েছে,,,,তাহলে কেনো,,,নীলু এখন এসব মেনে নেবে।”
