বাংলা সিরিয়াল

বিষ মেশানো সিদ্ধি শিমুলকে খাওয়ালো পরাগ পলাশ! মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো শিমুল

জি বাংলার “কার কাছে কই মনের কথা” ধারাবাহিকে এখন দুর্গাপুজোর মরশুম চলছে। দিনের পর দিন ইচ্ছে পুতুল ধারাবাহিক খুব বেশি বাস্তববাদী হয়ে ওঠার কারণে দর্শকদের মনের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে এটি। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে শিমুলের বিয়ে হওয়ার পর থেকে তার জীবনের সুখ বলে বস্তুটা উধাও হয়ে গিয়েছে।

শ্বশুরবাড়িতে স্বামী শাশুড়ি আর দেওরের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে তাকে। জীবন যুদ্ধে হার মানবে না শিমুল।

শাশুড়ি মধুবালা অনেক পরিবর্তন হয়ে গিয়ে ঠিক যেন তার মায়ের মতই হয়েছে। বৌমাকে সবসময় মেয়ের মতো করে আগলে আগলে রাখেন তিনি। বৌমার সঙ্গে দুর্গা পুজোতে মধুবালাও অংশগ্রহণ করেছেন। বর্তমানে পাড়ার বৌদির সঙ্গে শিমুল সহ বয়স্ক মহিলারা একত্রিত হয়ে দুর্গাপুজো করছে বেশ জমজমাট করে।

আরও পড়ুন : “কিছু জিনিস থাক আলাদা….”, পর্দার ভাসুরের সঙ্গে সম্পর্কে উর্মি! প্রেম নিয়ে যা জানালেন সৌমিলি….

তবে দুর্গাপূজায় মেয়েদের এত আনন্দ উৎসব একেবারেই চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে পরাগ এবং পলাশের।

এদিকে শিমুলের সঙ্গে প্রতিদিনের সাংসারিক যুদ্ধে পেরে উঠছে না পরাগ এবং পলাশ। তারপর আবার শিমুলের পক্ষে রয়েছে তাদের নিজের মা।

সবমিলিয়ে মনে মনে তারা ছক কষতে শুরু করেছে যে, কিভাবে শিমুলকে বেকায়দায় ফেলা যায়। পলাশ বারবার করে পরাগকে বলে, শিমুল তাদের পরিবার তাকে ছারখার করে দিয়েছে। তাদের মাকে কেড়ে নিয়েছে। তাই শিমুল বেঁচে না থেকে তার মরে যাওয়াই ভালো।

দাদার মাথায় একের পর এক কুটবুদ্ধি দিতে শুরু করে পলাশ। এবার তারা শিমুলকে মেরে ফেলার জন্য প্ল্যান করতে শুরু করে। এরই মাঝে প্রকাশ্যে এলো প্রোমো। সেখানে দেখা যাচ্ছে, দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় সকলেই সিদ্ধি খেয়ে নাচছে। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়েছে শিমুল।

কিন্তু সিদ্ধি খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায় সে। সেই সময় পরাগ এসে শিমুলের নাকের কাছে হাত দিয়ে সে জীবিত আছে কিনা দেখতে চাইলে, শিমুল তার হাত ধরে বলে “কেন করলে এরকম?” শিমুলের প্রাণ সংশয় দেখে কি নিজেকে পরিবর্তন করবে পরাগ?

Related Articles