‘বাংলায় হচ্ছে হিন্দি নাগিনের মত পোশাক কেন চাইছেন? পঞ্চমী বাঙালি সংস্কৃতি মেনে হলে সমস্যা কি?’ পঞ্চমীকে বারবার হিন্দি নাগিনের পোশাকে দেখতে চাওয়ায় এক নেটিজেন দিলেন মোক্ষম জবাব!
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পঞ্চমী’তে দেখা যাচ্ছে যে, এটি একটি ইচ্ছাধারী নাগিনের গল্প। পঞ্চমীতে দেখা যাচ্ছে যে,পঞ্চমীর মার রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়, এই মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে হবে পঞ্চমীকে। কিন্তু এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে, ঘটনা সূত্রে কিঞ্জলকেই পঞ্চমী মায়ের খুনি দেখানো হচ্ছে; যদিও তা আদপে সত্যি নয়! কিঞ্চল শুধু মাত্র সাপটিকে দেখে ভয় পেয়ে মারতে বলে ছিলো কিন্তু সে সাপটিকে মারে নি, তবুও নাগমাতা চায় যে,পঞ্চমী কিঞ্জল কে হত্যা করুক। পঞ্চমী এটা করতে অস্বীকার করলে নাগ মাতা চিত্রাকে নিয়ে ছদ্মবেশে কিঞ্জলদের বাড়িতে আসে।
চিত্রার সাথে কিঞ্জলের বিয়ে ঠিক হয়, কিঞ্জলের মা এই বিয়েতে রাজি হয়ে যায়, কারণ চিত্রার কুষ্টিতে লেখা আছে যে, সে তার স্বামীর জীবন বাঁচাবে। পঞ্চমী সব সময় চেষ্টা করে যায় এই বিয়েটাতে বাধা দেওয়ার! সম্প্রতি পঞ্চমীর একটি নতুন প্রোমো দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, যেখানে দেখা যাচ্ছে মেহেন্দির অনুষ্ঠানে কিঞ্জলের নাম নিজের হাতে লিখতে যাচ্ছিল চিত্রা। এই বিষয়টি বিগড়ে দেওয়ার জন্য পঞ্চমী বেজির রূপ নেয়। বেজি দেখে যে সাপ ভয় পায় সেটা সবাই জানে, বেজি দেখে চিত্রাও ভয় পেয়ে যায় আর তার হাতের মেহেন্দি ঘেঁটে যায়। এরপর চিত্রা রেগে যায় আর সে বলে পঞ্চমীর ওপর থেকে এর প্রতিশোধ আমি নেবোই।
এরপর দেখা যায় যে, চিত্রা বলছে, আমার মাথা গরম হয়ে গেছে আমার মাথা ঠান্ডা করার জন্য পঞ্চমীকে নাচতে হবে। এরপর পঞ্চমী মহাতান্ডব নাচতে শুরু করে, সেই মহাতান্ডব দেখে নাগমাতাও ভয় পেয়ে যায়।
এই প্রোমো দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনেরা লিখছেন যে, এইবার পঞ্চমীর টি আর পি বাড়বেই। কেউ আবার লিখেছেন যে পঞ্চমী তো খুব সুন্দর হচ্ছে কিন্তু আমরা চাই পঞ্চমীকে হিন্দি নাগিনীর মতো ড্রেস পরানো হোক। এই কথার প্রতিবাদ করে অন্য একজন নেটিজেন লিখেছেন, বাংলায় হচ্ছে হিন্দি নাগিন এর মতো পোশাক কেন চাইছেন? বাঙালি সংস্কৃতি অনুযায়ী যদি হয় তাতে সমস্যা কি?
