‘সবাই জেনে গেল পঞ্চমী ইচ্ছাধারী নাগিন! পঞ্চমীর সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে কিঞ্জল তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গেল!’ পঞ্চমীর মহা সপ্তাহের প্রমো দেখে উচ্ছ্বসিত নেটিজেন!
রাজদীপ গুপ্ত ও সুস্মিতা দের অভিনীত পঞ্চমী টেলিকাস্টের প্রথম সপ্তাহে বাজিমাত করে ৮.৪ টিআরপি পেয়ে বঙ্গ সেরা দ্বিতীয় ধারাবাহিক হয়েছে। আবার অন্য একটি টিআরপির নিরিখে এই ধারাবাহিকই বঙ্গ সেরা হয়েছে, এই ধারাবাহিক এতো ভালো ফল করার পিছনে কারণ হলো এই ধারাবাহিকের গল্প যা রীতিমতো ইন্টারেস্টিং।
হিন্দিতে এই রকম গল্প অনেক এলেও বাংলায় এই গল্প একদম নতুন। এই ধারাবাহিকে দেখানো হয় যে, ধারাবাহিকের নায়িকা পঞ্চমী একজন ইচ্ছাধারী নাগিন কিন্তু সে নিজেই নিজের আসল পরিচয় জানে না।
অন্যদিকে পঞ্চমীর মা নাগ রানী পঞ্চমীর জন্ম দেওয়ার পরই মৃত্যু বরণ করেন। নীলকন্ঠ বাবার মন্দিরের পুরোহিত ও পুরোহিত পত্নীর কাছে বেড়ে ওঠে পঞ্চমী। এরপর গ্রামে আসে কিঞ্জল, বারংবার কিঞ্জলকে সাপের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচায় পঞ্চমী, একই সাথে জমিদার গিন্নিকেও সাপের আক্রমণ থেকে বাঁচায় সে।
কিঞ্জল দের গুরুদেবের সন্দেহ হয় পঞ্চমী একজন ইচ্ছাধারী নাগিন, এরপর তিনি পঞ্চমীর সত্য পরিচয় জানতে উঠে পড়ে লাগেন। পঞ্চমীর উপর বিপদের আঁচ আসতে পারে বুঝতে পেরে নাগ মাতা কিঞ্জলের গুরুদেব কে দংশন করতে ছুটে যান ও দংশন করেন।
কিঞ্জলের গুরুদেব কে বাঁচাতে এই বিষ গ্রহণ করে পঞ্চমে। সম্প্রতি এই ধারাবাহিকের একটি প্রোমো দেওয়া হয়েছে, যেখানে দেখানো হচ্ছে যে,আগামী ২০ থেকে ২৫শে ডিসেম্বর এই ধারাবাহিকে মহা সপ্তাহ হবে। সেখানে দেখানো হচ্ছে যে, গোটা গ্রামের সবাই ভাবছে যে পঞ্চমী নিজেই একটা ইচ্ছাধারী সাপ তাই সবাই মিলে পঞ্চমী কে মারতে আসছে তখন পঞ্চমীর পালিত বাবা তাকে বলছে তুই এই গ্রাম ছেড়ে চলে যা।
পঞ্চমীর মা বলে, বিয়ে না দিয়ে পঞ্চমীকে এই গ্রাম ছাড়তে আমি দেব না। অন্যদিকে জমিদার গিন্নি বলে কিছু একটা করে তো পঞ্চমীকে বাঁচাতে হবে। এরপর দেখা যায় যে কিঞ্জল নিজে পঞ্চমীর সিঁথিতে সিঁদুর দান করে তাকে গ্রাম থেকে বাইরে নিয়ে যাচ্ছে।
View this post on Instagram