হিরো চেঞ্জ করে টপার হবে?এমন গল্প আনার কি দরকার মাঝপথে হিরো থিম চেঞ্জ করতে হবে?রূপ সাগরে মনের মানুষে বধূ কোন আলোর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখে বিরক্ত দর্শক
একটা ধারাবাহিক যখন একজনকে দিয়ে শুরু হয় তখন দর্শক আশা করেন সে শেষ অবধি সেই মানুষটাকে দিয়েই ধারাবাহিক শেষ হবে, তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, ঘটনা যায় ঘটুক না কেন, হিরো হিরোইন সেম থাকে। কিন্তু টেলিভিশনের ইতিহাসে দুটি ক্ষেত্রে নায়ক পরিবর্তন হয়েছে।
অনেক আগে স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক বধূ কোন আলো লাগলো চোখে তে, জনপ্রিয় অভিনেত্রী পায়েল দের বিপরীতে থাকা অভিনেতা বদলে গিয়েছেন তথাকথিত ভাষায় সুন্দর দেখতে না হওয়ার জন্য, বহু বছর পর সেই ইতিহাস আবার রিপিট হল সান বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক রূপসাগরের মনের মানুষে রুকমা রায়ের বিপরীতে থাকা অভিনেতা দেবায়ন ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রেও।
এক অংশের মানুষ যখন রুকমার পাশে হ্যান্ডসাম হিরো দেখে খুশি, অন্য অংশের মানুষ তখন রূপ পূর্ণার জুটি ভেঙে যাওয়াটাকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। তাদের বক্তব্য যে, এস ভি এফ এর আন্ডারে থাকা দুটি ধারাবাহিকেই এইভাবে নায়ক পরিবর্তন হলো।
এর আগে যখন এরকম কনসেপ্টের ধারাবাহিক চলেনি নায়ক যখন পরিবর্তন করা হয়েছে তখন আবার সেই একই কনসেপ্ট আনার কি দরকার ছিল! নায়ক যখন পরিবর্তন করতেই হবে ধারাবাহিকের মাঝপথে গল্প যখন মূল থিম থেকে সরেই যাবে তখন প্রথম থেকে পূর্ণা রূপের গল্প দেখানোর কি দরকার ছিল?
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন পোস্ট করেছেন যে,“রূপসাগরে মনের মানুষ বা বধূ কোন আলো লাগল চোখে দুটোর কোনোটাই দেখিনি তবে দুটোর প্রোডাকশন সেম , মনে হল ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটল
স্বস্তিকা মানে দীপা ভাগ্যিস দেখতে ভালো তাই কালো হলেও দর্শক গ্রহন করেছে।”
এই পোস্টে একজন লিখেছেন যে,“তামিল অডিয়েন্স গ্রহণ করতে পেরেছে প্রক্সিমিটির কারণে..একেক অঞ্চলের মানুষের সৌন্দর্যবোধের মাপকাঠি একেক রকম…জাতিগত কারণে বা আবহাওয়াগত কারণে তামিল অঞ্চলের মানুষ এই বর্ণের সাথে পরিচিত..
যেটা এ বঙ্গে নয়..আর এই বঙ্গের মানুষের মধ্যে জাত্যাভিমান প্রকৃতিগত কারণেই কিঞ্চিত বেশি..তাই তারা নিজেরা যেমনই হোক না কেন, সামনে যে থাকবে তাকে টপ-নচ ওয়েতেই দেখতে চায়…” আরেকজন লিখেছেন যে,“হিরো চেঞ্জ করে বুঝি চ্যানেল টপার হবে! এমনিতেও শেষের পথে”আরেকজনের বক্তব্য,“ এমন গল্প আনার কি দরকার মাঝপথে হিরো থিম সব চেঞ্জ করতে হবে ”