বাংলা সিরিয়াল

“কাজের অভাব হলেও ক্যামেরার সামনে চুমু খেতে পারব না, কোনদিনও ছোট পোশাক পড়ে আসব না,” সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য। দীর্ঘ ১০ বছরের অভিনয় জীবনে বহু ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। শ্বেতা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শকদের পছন্দের অভিনেত্রী হয়ে উঠেছেন। নিজের রূপ ও গুণ দিয়ে মানুষের নজর কেটেছে বরাবর। দীর্ঘ সময় ছোটো পর্দায় অভিনয় করার পর গত বছরই মুক্তি পেয়েছে তার প্রথম বাংলা ছবি ‘প্রজাপতি’। ছবিতে দেব, মিঠুন চক্রবর্তী, মমতা শঙ্কর সহ আরো বড় বড় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। ছবির মুক্তির পরে সংবাদ মাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে ধরা দিলেন শ্বেতা। যেখানে কর্মজীবন থেকে ব্যক্তিগত জীবনের নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন অভিনেত্রী।

প্রজাপতি ছবির তে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী জানান “প্রথম ছবি, খুব ভাল লাগছে। অভিজিৎদা, অতনুদাদের অনেক ধন্যবাদ। সিরিয়ালের চাপের জন্য অনেক কিছুতে উপস্থিত থাকতে পারিনি। সেগুলোও মেনে নিয়েছেন। এটাই বড় প্রাপ্তি। আমি কৃতজ্ঞ।” এরপর অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হয় ‘১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়ালে অভিনয় করছেন, বিরতি নিতে ইচ্ছে হয় না ছোট পর্দা থেকে?’ এর উত্তরে অভিনেত্রী জানান “আমার ভাল থাকার ওষুধ হল কাজ। আমি কাজে থাকলে অবসাদ (ডিপ্রেশন) থেকে দূরে থাকি। এমন নয় যে, ছুটি চাই না। সিরিয়াল শুরুর আগেই আমি বলে দিই আমার শর্তগুলো। এই যেমন রবিবার আমি ছুটি চাই। ১ জানুয়ারি আমি কাজ করি না। শো এলে আমায় আগে ছেড়ে দিতে হবে। আমরা তো প্রচুর ‘মাচা শো’ করি, তখন আগে ছাড়তেই হয়। আমি চাই পর পর হাতে কাজ থাকুক।”

শ্বেতা ছোটবেলা থেকেই খুব কষ্ট করে মানুষ হয়েছে। অভিনেত্রীদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা ছিল একসময়। একবেলা খেলে পরের বেলা কি খাবেন সেটা ভাবতে হতো। নিজের ছোটবেলায় নিয়ে অভিনেত্রী জানিয়েছেন “ছোটবেলা তো আরও কঠিন ছিল। মোটেই সহজ ছিল না। নুনভাত খেয়ে কাটিয়েছি। আমার দাদা ছিলেন, সে-ও মারা গিয়েছে। আমার ছোটবেলা বলতে বসলে ইতিহাস হয়ে যাবে। মা বাইরে বেরোনোর আগে শিখিয়ে দিতেন, কেউ জিজ্ঞেস করলে যেন বলি, মাছভাত বা মাংস-ভাত খেয়েছি। দুপুরে খেয়ে রাতে ভাবতে হত, কী খাব? এখন তাই একটাই লক্ষ্য, আমার মা-বাবা যেন ভাল থাকেন।” বর্তমানে অভিনেত্রীর মা খুব অসুস্থ। ইতিমধ্যে দুবার স্ট্রোক হয়ে গিয়েছে। ডাক্তার জানিয়ে দিছে এরপরে স্ট্রোক হলে তাকে আর বাঁচানো যাবে না। যার কারণে শ্বেতার সাথে শুটিং ফ্লোরে তার মা উপস্থিত থাকে। মাকে সবসময় চোখে চোখে রাখেন তিনি।

এরপর অভিনেত্রী থেকে জানতে চাওয়া হয় যে রোজগার যখন বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে তখন তিনি কোন ভুল পথে পরিচালিত হয়ে পড়েন কিনা আর তিনি কোন ভুল প্রলোভনের প্রভাবিত হয়ে পড়েন কিনা? উত্তরে অভিনেত্রী জানান “আমি এত মরিয়া হয়ে যাইনি কখনও কাজের জন্য, যে যা বলবে তাই করব। কোনও সিদ্ধান্ত এমন নিইনি যে, পরে অনুশোচনা হতে পারে। আমি যেমন সিনেমা বা শুটিংয়ের জন্য হলেও ছোট খোলামেলা পোশাক পরি না, হাতকাটা জামা পরি না। এগুলো আমার আগে থেকেই বলা থাকে। কাজের প্রয়োজনে আমি ক্যামেরার সামনে চুমু খেতে পারব না।”

এছাড়াও আমার প্রত্যেকে জানি টেলিভিশনের আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা রুবেল দাসের সঙ্গে বর্তমানে চুটিয়ে প্রেম করছেন শ্বেতা। বেশ কিছুদিন নিজেদের সম্পর্ক গোপন করে রাখলেও খুব একটা বেশি লুকিয়ে রাখতে পারেনি দর্শকের থেকে। তাদের একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ছবি পোস্ট করা রেখে দর্শক বুঝে গিয়েছিলেন যে দুজনে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন। এরপর তো সাক্ষাৎকারে খুললাম খুল্লা জানিয়ে দেন দুজনে।

Related Articles