মিষ্টির মতো শাক্য কেও সিদ্ধার্থ এরকমই ভালবাসতে পারে, দুজন সন্তানের ক্ষেত্রে দু’রকম আচরণ দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ মিঠাই ধারাবাহিকের সিদ্ধার্থ কে

এই মুহূর্তে বাংলা ধারাবাহিক গুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হলে মিঠাই ধারাবাহিক। দীর্ঘ ২ বছর ধরে এই ধারাবাহিক জি বাংলার পর্দায় রাজত্ব করে চলেছে। শুরুর সময় থেকেই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা ছিল আকাশছোঁয়া। মাঝে জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছিল। তবে আবারো জমে উঠেছে এই ধারাবাহিক। ধারাবাহিকে আমরা দেখেছিলাম একটি দুর্ঘটনায় মিঠাই মারা গিয়েছে কিন্তু বর্তমানে আবার ধারাবাহিকের গল্প অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। কয়েকদিন আগেই আমরা দেখতে পেয়েছি মিঠাই বেঁচে রয়েছে এবং সুস্থ স্বাভাবিক রয়েছে। শুধু তার পুরনো সব স্মৃতি হারিয়ে গিয়েছে। মিঠাইয়ের সঙ্গে দেখা গিয়েছে একটি ছোট্ট মিষ্টি মেয়েকে যে। কিনা সিদ্ধার্থ এবং মিঠাইয়ের দ্বিতীয় সন্তান।
তবে সিদ্ধার্থ এবং মিঠাইয়ের এখনো একে অপরের সঙ্গে দেখা হয়নি। কিন্তু মিষ্টির সাথে সিদ্ধার্থ এর আলাপ পরিচয় হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মিষ্টিকে ভালোবেসে ফেলেছে সিদ্ধার্থ। বাবা মেয়ে কে একসাথে দেখে দর্শকদের মন ভরে গিয়েছে। মিষ্টির আগে সিদ্ধার্থ এবং মিঠাই এর একটি ছেলে রয়েছে যার নাম শাক্য।
যার সঙ্গে সিদ্ধার্থের সম্পর্ক কিছুটা হলেও কঠোর। আসলে মিঠাই চাইতো তার ছেলে সব সময় সবকিছুতে প্রথম হবে, মানুষের মতো মানুষ হবে। তাই সিদ্ধার্থ ছেলের প্রতি এতটা কঠোর। ছেলেকে সঠিকভাবে মানুষ করার জন্যই ছেলের সঙ্গে এমন কঠোর আচরণ করে সে।যার কারণে শাক্য নিজের বাবাকে খুব ভয় পায়। আর শাক্যর ভয় কাটানোর জন্য মিঠিকে সিদ্ধার্থ এবং শাক্যর মাঝে আসতে হয়, দুজনের সম্পর্ক ঠিক করার জন্য।
কিন্তু সে দিক থেকে দেখতে গেলে মিষ্টির সঙ্গে প্রথম দেখাতেই সিদ্ধার্থর বেশ ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। মিষ্টি কে আদর ভালবাসায় ভরিয়ে দিচ্ছে সে। আর দর্শকরা এই দেখে বলছে দুজন সন্তানের ক্ষেত্রে দু’রকম আচরণ মোটেই ভালো লাগছে না দেখতে। আবার অনেকে বলছেন বাবা মেয়ের সম্পর্ক তো আসলে এরকমই হয়। বাবারা মেয়েদেরকে একটু বেশি ভালোবাসে বরাবর।
এই নিয়ে এক নেটিজেন লিখেছেন,”সিড মিষ্টিকে এত ভালবাসে নিজের হাতে খাইয়েও দিল কিন্তু শাক্য কে ওতো এরকম একটু আদর করতে পারে এই জিনিসটা খুব খারাপ লাগলো। হয়তো বাবার কাছে ছেলেদের থেকে মেয়েদের একটু বেশি ভালোবাসি তাই বলে এত পার্থক্য মিষ্টির মতো যদি সিড শাক্য কেউ একটু আদর করতো তাহলে বাবা আর ছেলের বন্ডিং মিঠিকে ঠিক করতে হতো না “।