বাংলা সিরিয়াল

দিন দিন বাংলা ধারাবাহিক তলিয়ে যাচ্ছে! ‘একটা নায়ক কে পাওয়ার জন্য কম করে তিন থেকে চারটে মেয়ে ভিলেইন থাকবেন, এটাই এখনকার ট্রেন্ড’ – বিরক্ত হচ্ছেন দর্শক

যেকোনো পুরনো কিছুর কোয়ালিটি যথেষ্ট ভালো। এটা একটা সাধারন ধারনাই হয়ে দাঁড়িয়েছে। তেমনি ধারাবাহিকের ক্ষেত্রেও। পুরনো এমন এমন সব ধারাবাহিক আছে যা বাঁধিয়ে রাখার মত কাজ। তখনকার দিনে খুব বেশি ম্যানপাওয়ার ছিল না, খুব বেশি ভালো টেকনোলজি ছিল না। তবে যেটুকু ছিল সেটুকুই দেখার মত। যেমন গল্প তেমন তার নির্মাতা, কলাকুশলীরা। আর তেমনি তাঁদের নিয়মানুবর্তিতা। এই সবটার কারণে বেস্ট কাজ হতে দেখতে পাওয়া যেত।

এখনো সোশ্যাল মিডিয়া য় এই সমস্ত কাজগুলির বিভিন্ন ক্লিপিং, গান, ভিডিওর সিন দেখতে পাওয়া যায়। যারা সেসব দেখেছেন তারাও নস্টালজিক হয়ে পড়েন। সেই ধারাবাহিকের সাথে এখনকার ধারাবাহিকের তুলনা করে আফসোস করেন দর্শক। তখন চট জলদি এপিসোড তৈরি করার কোন তাড়া ছিল না। তাই কোয়ান্টিটি কম হলেও কোয়ালিটি সব সময় ভালো হতো।

ভুতু, পটল কুমার গানওয়াল, কিরণমালা, বোঝে না সে বোঝে না, আঁচল, মা, সুবর্ণলতা, খনা আরো কত না গল্প। আর এখনকার ধারাবাহিকের গল্পের কোয়ালিটি দেখে রীতিমত মাথা চাপড়ান দর্শকেরা। শুধু তাই নয়, বিরক্ত হয়ে যান। টিআরপি চক্করে ভালো গল্পগুলোকে হঠাৎ হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার জায়গায় নিয়ে আসা হয় নতুন নতুন ধারাবাহিক। ফলে মাত্র ৩০০ থেকে ৪০০ পর্বের পর বন্ধ হয়ে যায় ধারাবাহিক।

এই সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই মনে করেন এখনকার ধারাবাহিকগুলি কিছু ট্রেন্ড ফলো করে চলে। সেটা নিয়েই একজন মেডিসিন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘এখনকার সিরিয়ালের দু তিনটে নিয়ম হয়ে গিয়েছে,
১.নায়িকা হবে সব থেকে ভালো। সেই সবকিছু থেকে সবাইকে রক্ষা করবে
২.একটা নায়ক কে পাওয়ার জন্য কম করে তিন থেকে চারটে মেয়ে ভিলেইন থাকবেন।
৩.নায়িকা হারিয়ে যাবে, তারপর স্মৃতিশক্তি হারিয়ে বাড়িতে ফিরে আসবে।
৪.নায়িকা সর্বগুণে সম্পূর্ণা হবে’।

এই নেটিজেনের কথা থেকে স্পষ্ট যে বহু পুরনো ধারাবাহিক দেখেছেন তিনি। বাংলা ধারাবাহিক প্রেমে না হলে এতটা সম্ভব নয়। আর সেই জন্যই তিনি আগেকার ধারাবাহিক আর এখনকার ধারাবাহিকের মধ্যে পার্থক্যগুলি নির্ধারণ করে দিতে পেরেছেন। অনেকেই তার সাথে সহমত হয়েছেন। আপনার কী মনে হয়? জানান কমেন্ট সেকশনে।

Related Articles