কোজাগরীর শাশুড়ি তো শ্রীময়ীর শাশুড়ির লাইট ভার্সন হয়ে গেলো!জল থৈ থৈ ভালোবাসা নিয়ে বলছেন দর্শক!
প্রত্যেকটি ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, যে কোনো ধারাবাহিক এক রকম ভাবে শুরু হয় আর শেষ হওয়ার আগে পুরো ঘেঁটে ঘ হয়ে যায়। একটা সময় দেখা যেতো যে, ধারাবাহিকের গল্পের মধ্যে একটা অভিনব ব্যাপার রয়েছে। একটা সময় দেখা যেতো যে, ধারাবাহিকের গল্প যেভাবে শুরু হচ্ছে, ধারাবাহিকের গল্প শেষও হচ্ছে সেই মেন থিমটাকে ধরে।
কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় যে এক ধরনের গল্প দেখিয়ে ধারাবাহিক শুরু হয় কিন্তু মাঝপথে গল্পের গরু গাছে উঠে যায় আর গল্প পুরোপুরি চেঞ্জ হয়ে যায়। ঠিক যেমনটি হয়েছে স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক জল থৈ থৈ ভালোবাসার ক্ষেত্রে। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে, কোজাগরী যে একজন উচ্চ বিত্ত ঘরের ঘরোয়া মহিলা, সে ভীষণ আমুদে, সে সকলকে নিয়ে আমোদ করতে ভালোবাসে।
আরও পড়ুন : সূর্যকে নিজের করে পেতে তুমুল দ্বন্দ্ব দুই বোন ইরা-মিশকার! নতুন টুইস্ট আনলো “অনুরাগের ছোঁয়া”
কিন্তু ধারাবাহিকের মাঝপথে এসে দেখা যায় যে, ধারাবাহিকটি মেন লাইন থেকে রীতিমতো সরে গেছে। কোজাগরী উচ্চবিত্ত সংসারের থেকে বেরিয়ে যখন নিজের পরিচিতি তৈরি করবার জন্য একটা ভাতের হোটেল খুলে বসে তখন তার ছেলে , বর থেকে শুরু করে তার মায়ের মতো শাশুড়ি মা যে তার কাছে ছাড়া অন্য কারোর কাছে যেত না, কোজাগরীকে ছাড়া সে অন্য
বউয়ের কাছে থাকতো না সেই শাশুড়ি মা পর্যন্ত কথায় কথায় উঠতে বসতে তাকে খোঁটা দিতে শুরু করে এবং সকলের সামনে অপমান করতে শুরু করে। পজিটিভ থেকে পুরোপুরি ১৮০° নেগেটিভ হয়ে যাওয়ার এই ব্যাপারটা অনেকেই মানতে পারেন না। তারা বলতে থাকেন বিষয়টা ঠিক কেমন হলো? এ তো পুরো শ্রীময়ীর শাশুড়ি হয়ে গেলো!
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“এর আগে কোজাগরী র শাশুড়ি কত ভালো ছিল। এখন তো শ্রীময়ী র শাশুড়ি র লাইট ভার্সন হয়ে যাচ্ছেন। কেন। মানে কেন। জল থই থই ভালোবাসা আর বাকি পাঁচটা র মতোই হয়ে গেল।”