‘উড়ন্ত সিঁদুর এখন অতীত নিজে নিজে সিঁদুর পড়া এখন নতুন ট্রেন্ড’-তুলসী ও জগদ্ধাত্রীর ইনস্পিরেশন কিন্তু লক্ষ্মী কাকীমা সুপারস্টারের হংসিনী নয় বরং অন্য কেউ! কে প্রথম শুরু করেছিলো এই ট্রেন্ড? সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এলো তার নাম
বিভিন্ন ধারাবাহিকে দেখা যায় এক এক সময় এক একটা ট্রেন্ড আসে এবং সেই ট্রেন্ড বিভিন্ন ধারাবাহিক ফলো করতে শুরু করে। যেমন একটা সময় দেখা যেত প্রত্যেকটা ধারাবাহিক এই নায়ক নায়িকার বিয়ে হচ্ছে ভীষণ ভুল বোঝাবুঝির মধ্য দিয়ে। একে অন্যকে বিয়ে করছে নয় পাত্র-পাত্রী বদল হয়ে, নয় একে অন্যের জীবন ধ্বংস করবার জন্য , নয়তো লগ্ন ভ্রষ্ট হওয়ার থেকে বাঁচানোর জন্য। বিয়েটা মিটে যাওয়ার পর স্বামী স্ত্রী একে অপরকে আপনি আঞ্জে করে কথা বলতে শুরু করে আর দুজনের মধ্যে কোন রকম সম্পর্ক তো দূরে থাক, এক ঘরে দুজনের শুতেও আপত্তি এরকম একটা বিষয় দেখানো হয়।
পরবর্তীকালে ধারাবাহিকে নতুন একটা ট্রেন্ড এলো যেখানে দেখানো হলো, নায়ক নায়িকার বিয়ে ঠিক হচ্ছে একজনের সাথে মাঝখান থেকে উড়ন্ত সিঁদুর, উড়ন্ত হলুদ এবং উড়ন্ত মালার মধ্য দিয়ে নায়ক নায়িকার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। এই ট্রেন্ড বেশ কিছুদিন ধরে চলছে এবং যে ধারাবাহিক শুরু হয় সেই ধারাবাহিকেই একবার না একবার এই উড়ন্ত ট্রেন্ড আসবেই। নয় প্রথমবার উড়ন্ত সিঁদুরে বিয়ে হবে নয়তো খলনায়িকার সাথে বিয়ের আসরে উড়ন্ত সিঁদুরে বিয়ে হবে।
বহুকাল ধরে বিভিন্ন ধারাবাহিকে এই ট্রেন্ড চলার পর এখন নতুন ট্রেন্ড এসেছে। লক্ষ্মী কাকীমা সুপারস্টারে দেখা গিয়েছিল হংসিনী নিজের সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে দুলালের স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে লক্ষ্মী কাকিমার বাড়িতে ঢোকে, এই কিছুদিন আগে জগদ্ধাত্রী সিরিয়ালের জগদ্ধাত্রী ও নিজের সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে তাই করলো এইবার আগামীতে কালার্স বাংলায় আসা নতুন ধারাবাহিক ফেরারি মনের প্রোমতেও দেখা যাচ্ছে তুলসী নিজের সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে মিথ্যে বৌয়ের পরিচয় নিয়ে নায়কের বাড়িতে গিয়ে ঢুকছে।
যা দেখবার পরে দর্শকরা বলছেন,‘উড়ন্ত সিঁদুর এখন অতীত নিজে নিজের সিঁথিতে সিঁদুর দেওয়াই এখন ট্রেন্ড’- সেখানে হংসিনী, জগদ্ধাত্রী এবং তুলসীর ছবি দেওয়া হয়েছে। এই ছবিতে একজন আবার কমেন্ট করে লিখেছেন যে,
“আরে এদের ইনস্পিরেশন কেই রাখলেন না এদের সবার inspiration হলো সাথী serial এর নায়িকা”(সেই নায়িকা বিয়ের মন্ডপে লজ্জা বস্ত্রের আড়ালে স্বামীর হাত থেকে সিঁদুর কেড়ে নিয়ে নিজে হাতে নিজের সিঁথিতে সিঁদুর পড়েছিল আর সবাই ভেবেছিল স্বামী সিঁদুর দান করছে কারণ পুরো মুখটা লজ্জা বস্ত্র দিয়ে ঢাকা ছিল)