বাংলা সিরিয়াল

ছেলের জীবনে আজ অবধি আসেনি কোন মেয়ে! দুশ্চিন্তায় কপালে ভাজ পরে গেছে ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের অভিনেতা সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের, দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে জানালেন তার মা, “লাভগুরু” হয়েও জীবনে “লাভ” নেই সৌরভের

বর্তমানে বাংলার সেরা সেরা ধারাবাহিক হয়ে উঠেছে মিঠাই। ৫৪ বার নিজেকে বাংলার সেরা ধারাবাহিকে প্রমাণ করেছে এই ধারাবাহিক। একটা সময় পর নিজেদের দোষেই টিআরপি তলানিতে ঠেকিয়েছিল তারা। কিন্তু আবার নিজেদের গুনেই ফিরে এসেছে টিআরপি লিস্টের প্রথম স্থানে। এ ধারাবাহিকের প্রত্যেকটি চরিত্রের সাথে মানুষ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ফেলেছে নিজেদের।

তাইতো ধারাবাহিকের কোন একটি চরিত্রকে একদিন না দেখলেই দর্শকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায় যে, কোথায় গেলেন সেই অভিনেতা বা অভিনেত্রী। কিছুদিন আগেই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছিল না সোম চরিত্রটিকে। ব্যাস তাতে দর্শকের কত উত্তেজনা। আর তারপরেই ফিরিয়ে আনা হয় অভিনেতাকে এই ধারাবাহিকে আবারো। তেমনই ধারাবাহিকের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলো রাজিব।

ধারাবাহিকের একদম শুরু থেকেই রাজিব আছেন মিঠাইয়ে। একদম গোঁড়ায় নিজেদের ভিত তৈরি করা থেকে শুরু করে মিঠাইকে আজ সেরার সেরা ধারাবাহিককে পরিণত করার পিছনে প্রত্যেক অভিনেতা, অভিনেত্রী, কর্মচারী, পরিচালক, সকলের সাথে সমান ভাগ আছে রাজিবেরও। কারণ ধারাবাহিককে দাঁড় করানোর পিছনে প্রত্যেকজন সমানতালে পরিশ্রম করে গেছেন। এই রাজিবের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা সৌরভ চট্টোপাধ্যায়। এই রাজিব হল মোদক পরিবারের নাত জামাই।

সিদ্ধার্থের পিসিমণির একমাত্র মেয়ের বড় রাজিব। যেমন কর্তব্যপরায়ণ তেমনই মজার এই চরিত্রটি। সর্বদা বিপদে আপদে মোদক পরিবারের পাশে থেকেছে রাজিব। মিঠাই আর সিদ্ধান্তকে খুব ভালবাসে সে। তেমনই সে নিজেও সমস্ত শালা-শালিদের কাছে আদরের জিজু। এই চরিত্রটি কি পর্দায় এত সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন যিনি তিনি হলেন সৌরভ চট্টোপাধ্যায়।

তবে দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে এসে তার মা ফাঁস করে দিল ছেলের জীবনের কথা। ধারাবাহিক যেমন আমরা সকলে তাঁকে দেখেছি রাজীব তার স্ত্রীকে, খুবই ভালোবাসে এবং তার প্রতি সে যথেষ্ট কর্তব্য পরায়ণ। কিন্তু তাঁর বাস্তবিক জীবনে এখনো কেউ আসেনি। অর্থাৎ সৌরভ এখনও নিজের ব্যাচেলর লাইফ পালন করে চলেছেন। আর সেই নিয়েই অভিনেতার মায়ের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে নিজের দুশ্চিন্তার কথা বললেন অভিনেতার মা। ছেলেকে এখনো পর্যন্ত বিয়ে দিতে পারেননি তিনি। তাঁর ছেলের নাকি কোন মেয়েই আজ পর্যন্ত পছন্দ হয় না। একেবারে সোজা কুমোরটুলি থেকে মেয়ে বানিয়ে আনতে হবে ছেলের জন্য। মায়ের দুশ্চিন্তার কারণ হলেও মজার ছলে কথাগুলি বলায় অট্টহাস্যের রোল উঠেছিল দিদি নাম্বার ওয়ান এর সেটে। তবে অভিনেতার অনুরাগীরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবেন কবে তাদের প্রিয় অভিনেতার জীবনে নারীর আগমন ঘটবে তা দেখার জন্য।

Related Articles