বাংলা সিরিয়াল

‘লাবণ্য প্রবীর ভালো শ্বশুর-শাশুড়ি হওয়া সত্ত্বেও খুব বিরক্তিকর!এদের এক কথা‘সব শেষ হয়ে যাচ্ছে’ অথচ সত্যি গুলো চেপে যায়! এদের একই কাহিনী দেখে দেখে সূর্য দীপার মতন আমরাও ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছি’অনুরাগের ছোঁয়া দেখে ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছেন দর্শক!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক অনুরাগের ছোঁয়া। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে মিশকার শয়তানি দিনকে দিন বেড়ে চলেছে আর সূ্র্য তো অন্ধের মতো মিশকার কথাতেই আজও পড়ে আছে তার পরিবারের সবাই তাকে বলা সত্ত্বেও সত্যিটা মানতে পারছে না যে, দীপার সন্তান রূপা আসলে তারই মেয়ে আর লাবণ্য সেনগুপ্ত প্রবীর সেনগুপ্ত সমস্ত সত্যিটা জানার পরেও তারা সমস্ত ঘটনাটা চেপে যাচ্ছেন, সত্যিটা কে তারা সবার থেকে আড়াল করে রাখতে চাইছেন।

দীপা যখন যমজ সন্তানের জন্ম দেয় তখন সেই যমজ সন্তানের মধ্যে থেকে সোনাকে লাবণ্য সেনগুপ্ত নিয়ে এসে সূর্যের হাতে তুলে দেয়, সে অনাথ বলে, দীপা কেও তিনি জানতে দেয়নি সত্যিটা কি! দীপা যখন বহু বছর পর সেই ডাক্তারের সম্মুখীন হয় এবং সেই ডাক্তার তাকে নিজে বলে যে, তার যমজ মেয়ের জন্ম হয়েছিল, তখন লাবণ্য সেনগুপ্ত কে প্রশ্ন করায় লাবণ্য সেনগুপ্ত সত্যিটা দীপার কাছে স্বীকার করতে বাধ্য হয়। একই রকম ভাবে আজ যখন সোনা নিজে জেনেছে সে অনাথ তখনও লাবণ্য সেনগুপ্ত সমস্ত সত্যিটা পরিষ্কার করে বলছে না, একই সাথে গোটা পরিবারের সবাই জানে যে দীপা নির্দোষ, সূর্য শুধু শুধু ভুল বুঝছে, তবুও, কেউ সূর্যর চোখে আঙুল দিয়ে সত্যিটা বুঝিয়ে দিচ্ছে না আর মাথা মোটার মত শুধু সূর্য সব দোষ দীপার দীপার করে চিৎকার করে যাচ্ছে। এই এক‌ই পর্ব প্রতিদিন রিপিটেডলি হয়ে যাচ্ছে আর দর্শক এই পর্ব দেখে বিরক্ত হয়ে উঠছেন প্রবীর সেন গুপ্ত এবং লাবণ্য সেনগুপ্তের ওপর, কারণ তারা সত্যিটা প্রকাশ করে না।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,
“এই চরিত্র দুটো ভালো শ্বশুর-শাশুড়ি, ভালো বাবা-মা হওয়া সত্ত্বেও খুবই বিরক্তিকর লাগে। এদের শুধু একটাই বক্তব্য “সব শেষ হয়ে যাচ্ছে” , অথচ সত্যি গুলো কি সুন্দর চেপে যায় । এদের এই একই কাহিনী দেখে দেখে সূর্য দীপার মতন আমরাও ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছি ”

Related Articles