‘ফাগুন বউ’এ সোলাঙ্কি আসে, কিন্তু বিক্রম ঐন্দ্রিলার জুটি ভেঙ্গে ‘ইচ্ছেনদী২’ হয় নি!এক্কাদোক্কায় প্রতীক আসায় ‘মোহর২’ হয়ে গেল! ‘লীনা পিসি দর্শকদের অনুরোধকে পাত্তা দেন না!’রাধিকা পোখরাজ জুটি ভাঙ্গায় ক্ষোভ দর্শকের!
যে কোনো ধারাবাহিকে কোন একটি জুটি সফল হলে সেই জনপ্রিয়তা সৃষ্টি হয় এটা সকলেরই জানা কথা, এবং বিভিন্ন জায়গায় সেই পুরনো জুটি রিপিট করা হয়, কিন্তু একটি নতুন ধারাবাহিকে একটি নতুন জুটি দিয়ে গল্প শুরু করার পরেও মাঝপথে পুরোনো জুটি এনে, পুরোনো জুটির গল্প শুরু করা এই ট্রেন্ডটা সচরাচর কোন ধারাবাহিকে দেখা যায় নি যেটা প্রথম দেখালো স্টার জলসার এক্কাদোক্কা।
যে কারণে প্রচুর সমালোচিত হতে হয় এই ধারাবাহিক কে, কারণ দর্শক এই ধারাবাহিক দেখতে শুরু করেছিলেন সোনামণি আর সপ্তর্ষীর কেমিস্ট্রি দেখবেন বলে মাঝখানে যখন প্রতীক সেন আসে তখন দর্শক এই আশায় ছিল যে প্রতীক এই ধারাবাহিকের মধ্যে ঢুকে সোনামণি আর সপ্তর্ষির মিল ঘটিয়ে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু না প্রতীক আসার পরেই গল্প পুরো চেঞ্জ হয়ে গেলো সপ্তর্ষিকে তৃতীয় ব্যক্তি করে প্রতীক আর সোনামণিকে জুটিরূপে তৈরি করা হলো, দর্শক আবার ফিরে পেলেন পুরোনো মোহর জুটির আমেজ।এখানেই প্রচুর দর্শকের আপত্তি, ধুলো কনা ধারাবাহিকেও দেখা গিয়েছিলো লালন ফুলঝুরির গল্প এগিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে পড়ে সখী খ্যাত জনপ্রিয় জুটিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল অঙ্কুর চরিত্রের মধ্যে দিয়ে কিন্তু অঙ্কুরের সাথে কিন্তু ফুলঝুরির মিল দেখানো হয়নি অঙ্কুর লালন আর ফুলঝুরির মিল করিয়ে বেরিয়ে যায়, কারণ এই গল্পটা ছিল লালন ফুলঝুরির গল্প।
দর্শকদের বক্তব্য ঠিক একই রকম ভাবে ২০১৮ সালে ফাগুন বউ বলে একটি ধারাবাহিক এসেছিল যেখানে বিক্রম ঐন্দ্রিলা কে জুটি হিসেবে দেখানো হয়েছিল এবং মাঝপথে এই ধারাবাহিকে সোলাঙ্কি রায়ের প্রবেশ ঘটে কিন্তু ফাগুন বউ ইচ্ছেনদী টু হয়ে যায় নি, সোলাঙ্কি বিক্রমের জুটির জনপ্রিয়তা আগে ইচ্ছেনদীতে হয়ে থাকলেও, এই গল্পে সোলাঙ্কি নায়ক নায়িকার মিল করিয়ে বেরিয়ে যায়। দর্শক এক্কাদোক্কার থেকেও এমনটাই আশা করেছিলেন কিন্তু এখন এক্কাদোক্কায় পোখরাজ হয়েছে তৃতীয় ব্যক্তি আর অনির্বাণ গুহ হয়েছে নায়ক-এই বিষয়টিতে মোহর দর্শকরা খুশি হলেও অধিকাংশ দর্শক এই বিষয়টা মেনে নিতে পারছেন না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন দর্শক ফাগুন বউয়ের উল্লেখ করে লিখেছেন,সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“২০১৮ সালে স্টার জলসায় একটা সিরিয়াল হতো।সিরিয়ালটা লিখেছিলো লীনা পিসি।সিরিয়ালটার নাম “ফাগুন বউ”।ঐ সিরিয়ালে লীড জুটি রোদ্দুর-মহুল এর ভূমিকায় অভিনয় করতো বিক্রম চ্যাটার্জী ও ঐন্দ্রিলা সেন।
সিরিয়ালটাতে একবার দেখিয়েছিলো যে,রোদ্দুর-মহুল এর সংসারে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিলো।আর সেই সময় রোদ্দুর অসুস্থ হয়ে পড়ে আর ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।তখন হাসপাতালে একজন নতুন ডাক্তার এসেছিলো।যার নাম মৃণালিনী।সে রোদ্দুরের কলেজ ফ্রেন্ড ছিলো।পরে তার উদ্যোগেই রোদ্দুর-মহুল এর সংসারের অশান্তি মিটে যায়।পরে মৃণালিনীকে আর দেখানো হয়নি।এই মৃণালিনী এর চরিত্রে অভিনয় করেছিলো রোদ্দুর অর্থাৎ বিক্রম চ্যাটার্জী এর আগের ব্লকবাস্টার সিরিয়াল ইচ্ছে নদী এর ব্লকবাস্টার জুটির হিরোইন সোলাঙ্কি রায়।
এবার আসি লীনা পিসির বর্তমান চলমান সিরিয়াল এক্কা দোক্কার কথায়।এই সিরিয়ালেও পোখরাজ-রাধিকা এর মধ্যে ঝামেলা হয়।পরে গুজব উঠেছিলো যে,ওদের ঝামেলা মেটাতে গল্পে একজন নতুন চরিত্র এন্ট্রি নেবে।চরিত্রটির নাম হলো অনির্বাণ গুহ।তার উদ্যোগেই পোখরাজ-রাধিকা আবার এক হবে।তো সেই মতো সব হলো।অনির্বাণের চরিত্রে গল্পে এন্ট্রি নিলো রাধিকা অর্থাৎ সোনামণি সাহা এর আগের ব্লকবাস্টার সিরিয়াল মোহর এর ব্লকবাস্টার জুটির হিরো প্রতীক সেন।
কিন্তু এখানে এই চরিত্রটি এসে পোখরাজ-রাধিকা এর মধ্যে মিল করানোর পরিবর্তে উল্টে পারমানেন্ট ভাবে রাধিকার সাথে জুটি হয়ে গেলো কেনো?আর পোখরাজের জীবনেই বা অন্য একজন পারমানেন্ট হিরোইন এনে দেওয়া হলো কেনো?দুটোই তো পিসির লেখা গল্প।তাহলে দুটো গল্পে এরকম দুরকম ঘটনা ঘটলো কী করে?
(কেউ প্লিজ বলবেন না যে,প্রতীক-সোনামণি জুটির প্রতি দর্শকের ভালোবাসা দেখেই লীনা পিসি ওদেরকে জুটি করে দিয়েছে।সেক্ষেত্রে আমি বলবো যে,বিক্রম-সোলাঙ্কি কেও কিন্তু দর্শকরা কম ভালোবাসতো না।আর আরেকটা কথা,লীনা পিসি যে অনলাইনে দর্শকদের করা রিকোয়েস্টকে পাত্তা দেন না,সেটাও আমার জানা।)”
