রঞ্জা মল্লার এর মাখো মাখো কেমিস্ট্রি দিয়ে ধারাবাহিক মন জয় করছে দর্শকের, এর পিছনে ঠিক কি জাদু মন্ত্র আছে? মুখ খুললেন মল্লার তথা ধ্রুব নিজেই
বর্তমানে জি বাংলার এক জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো পিলু। ধারাবাহিক শুরু হয় পিলু ও আহির অর্থাৎ নায়ক নায়িকার প্রেম কাহিনী কে ঘিরে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই গল্প ঘুরে দর্শকের নজর কেটেছে রঞ্জা এবং মল্লার। এই রঞ্ঝা এবং মল্লার এর চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী ইধীকা পাল এবং অভিনেতা ধ্রুব সরকার। রঞ্ঝা ও মল্লারের সম্পর্কের রসায়ন বেশ ভালই উপভোগ করছেন দর্শক। বলতে গেলে পিলু ও আহিরের থেকেও বেশি দর্শক পছন্দ করছেন জুটিকে। তাদের মান-অভিমান ও ভালোবাসার পর্বের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে বিন্দির আগমন আরো বেশি টক মিষ্টি ঝাল করে ফেলেছে তাদের রসায়নটিকে।
পিলু ধারাবাহিকের খলনায়ক মল্লার দুহাতে জনপ্রিয়তা কুড়াচ্ছেন এখন। অন্যদিকে মিঠাই ধারাবাহিকের সোম দেখে আর দেখতে পাচ্ছে না দর্শক। তবে খলনায়ক হিসেবে এন্ট্রি নিয়ে নায়ক কে পিছনে ফেলে দেওয়ার বিষয় এবার মুখ খুললেন অভিনেতা ধ্রুব নিজেই। বললেন, “এটা একটা বড় পাওনা। সিরিয়ালে যেভাবে চরিত্রটা ঢুকেছিল আর এখন পুরো টার্ন নিয়ে অন্যরকম চরিত্র এসে দাঁড়িয়েছে। যে ভূমিকাটা ফুটিয়ে তুলতে আমার খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে। প্রত্যেকটা দৃশ্যে অনেককিছু করবার আছে। একটা নেতিবাচক চরিত্র ধীরে ধীরে কীভাবে পরিবর্তিত হল, সেই পরিবর্তনটা আমাদের লেখিকা রাখিদি খুব সুন্দরভাবে দেখেছি, একজন অভিনেতার ক্ষেত্রে এটা বড় পাওনা। আমি খুব এনজয় করছি”।
আর রঞ্জা মল্লার এর রসায়ন? সে বিষয়ে কি বললেন অভিনেতা? ধ্রুবর কথায়, “আমি কীভাবে সংলাপ শেষ করব, ও কোথায় শুরু করবে… এই যে একটা কম্পোজিশন, এই যে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস, সেটা আমাদের দুজনের পরস্পরের প্রতি রয়েছে। এই যে কেমিস্ট্রিটা … চোখে চোখে কথা বলা যেটা মূলত রঞ্জা আর মল্লারের মধ্যে হয় সেটা আমার খুব ভালো লাগে। ইধিকা ভীষণ ভালো অভিনেত্রী, ওর সঙ্গে কাজ করে আমি আপ্লুত”।
অন্যদিকে ধারাবাহিকের রঞ্জা ও মল্লার এর মাঝে এন্ট্রি হয়েছে তৃতীয় ব্যক্ত। সেই তৃতীয় ব্যক্তি বিন্দি প্রাণপণ চেষ্টা করেছে রঞ্জা ও মল্লারকে একে ওপরের থেকে আলাদা করার। কিন্তু তাদের তিলে তিলে গড়ে ওঠাই ভালোবাসার সম্পর্ক কি তারা এত সহজে ভেঙে দিতে পারবে? অনেক চেষ্টা করে শেষে রঞ্জাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করে বিন্দি। তারপরেও মল্লার অনেক কষ্টে খুঁজে বের করে নিজের রঞ্জাকে। এবার বিন্দি যে মহাদেব রায়ের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ সেকথা প্রমাণ করতে চেষ্টা করছে রঞ্জা আর মল্লার দুজনেই। এবার শুধু এটাই দেখার যে তারা কি পারবে এভিডেন্স খুঁজে বের করতে? তা দেখতে হলে চোখ রাখতে হবে জি বাংলার পর্দায়।