বাংলা সিরিয়াল

‘শ্মশানের আগুনে পুড়ে অনুজের চুল দাড়ি ছাই হয়ে গেছে আর গরম থেকে নরমাল তাপমাত্রা এডজাস্ট করতে গায়ে হ্যাট কোর্ট পড়েছে!’গুড্ডি ধারাবাহিকে অনুজের লুক নিয়ে তুমুল খিল্লি সোশ্যাল মিডিয়ায়!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক গুড্ডিতে দেখা যাচ্ছে ১৮ বছর পর ফিরে এসেছে অনুজ। অনুজকে সবাই মৃত বলে জানত কারণ তার মুখাগ্নি করা হয়েছিল এবং তাকে শব অবস্থায় ফুলের মালা পরিহিত রূপে দেখানো হয়েছিল, কিন্তু দীর্ঘ সময় পড়ে দেখা যায় অনুজ তার নিজের ছেলে পুবলুর বিয়েতে তার নিজের বাড়িতে এসে হাজির হয়! যদিও সে এখন স্মৃতিশক্তিহীন পুরনো কোন কথাই তার মনে পড়ে না কিন্তু তার চেহারা দেখে এবং তার চেহারার সাথে অনুজের মিল খুঁজে পেয়ে অনুজের বাড়ির লোক তাকে বাড়িতে থাকতে বলেন আর অনুজ সেই অনুরোধে রাজি হয়ে যায়। এরপর সে অসুস্থ গুড্ডির সাথে দেখা করতে যায়, গুড্ডি‌ও অবাক হয়ে যায় যে যাকে সে মৃত অবস্থায় দেখেছিল যার চিতা সে সাজিয়েছিল সে কীভাবে সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারে!

তবে এই আগন্তুকের সাথে অনুজের চেহারার মিল দেখে গুড্ডি নিশ্চিত হয় যে সেটি অনুজ ছাড়া আর কেউ নয়। এখন ১৮ বছর আগে সেদিন কি হয়েছিল কিভাবে অনুজ মৃত্যুর মুখ থেকে আজ জীবন্ত হয়ে ফিরে এলো তা দেখতে গেলে তো গুড্ডি ধারাবাহিকে অবশ্যই চোখ রাখতে হবে কিন্তু অনুজ ফিরে আসার পর দর্শক একটি জিনিস দেখে ধারাবাহিক টির আবার সমালোচনা শুরু করেছেন তা হলো, অনুজের এজ! ১৮ বছর পর গুড্ডিকে যেখানে ইয়াং লাগছে, অনুজের জেঠিমা,জেঠা এমনকি বাবা কেও যেখানে অত বুড়ো লাগছে না সেখানে অনুজকে যেন বয়সের তুলনায় অনেক বেশি বুড়ো দেখানো হচ্ছে ধারাবাহিকে। তার সমস্ত দাড়ি পাকা হয়ে গেছে! যেখানে হিসেব অনুযায়ী দেখলে অনুজের বয়স ৪০ এর আশে পাশে, সেখানে তাকে যেন বাহাত্তরের লুক দেওয়া হয়েছে। আবার এই গরমে আমরা যখন ছটফট করছি তখন অনুজকে আবার হ্যাট কোর্ট পরানো হয়েছে।

এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন কথা হচ্ছে তখন অনেকেই অনুজের বয়স্ক হওয়া ও হ্যাট কোর্ট পরার কারণ বলছেন ধারাবাহিকটিকে ট্রোল করে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,
“অনেকে বলছেন অনুজের চেহারা বেশি বয়স্ক বানায়ে ফেলসে কেন,সব দাঁড়ি সাদা বানায়ে দিছে, এই গরমে হ্যাট কোট পড়ায়ে কেন রাখছে ইত্যাদি ইত্যাদি।

আসলে শ্মশানের আগুনে পুড়ানোর পর সব চুল দাঁড়ি এরকম ছাই রঙ হয়ে গেছে আরকি। আর ওই আগুনে পুড়ে এরপর পৃথিবীর বাতাসে এসে ওর শরীর বায়ুমন্ডলের নরমাল তাপমাত্রা এডজাস্ট করতে পারতেসে না। তাই ঠাণ্ডায় ওইসব পড়ে আছে।

আপনারা দেখি কিছুই বুঝেন না ধুর।”

Related Articles